পবিপ্রবি প্রতিনিধি,
পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পবিপ্রবি) আন্তঃ অনুষদীয় ফুটবল টুর্নামেন্টে ব্যাপক অব্যবস্থাপনার অভিযোগ উঠেছে। সাদামাটা আয়োজনে কোনোমতে শেষ করা হয় প্রায় ৪ লক্ষ টাকা বাজেটের এ টুর্নামেন্ট।
গত ১৫ ডিসেম্বর (রবিবার) আন্তঃ অনুষদীয় ফুটবল টুর্নামেন্ট-২০২৪ এর ফাইনাল খেলা সম্পন্ন হয়। উক্ত খেলায় চ্যম্পিয়ন হয় টিম এগ্রিকালচার অনুষদ এবং রানার্স আপ হয় টিম এনিম্যাল সাইন্স এন্ড ভেটেনারী মেডিসিন অনুষদ। লক্ষ টাকা বাজেট থাকা সত্ত্বেও সাদামাটা আয়োজনের মধ্যে দিয়ে শেষ করা হয় ফাইনাল খেলা। অভিযোগ রয়েছে নানা অব্যবস্থাপনার।
টুর্নামেন্টের পুরোটাই ছিল অপরিকল্পিত। প্রতিটি ম্যাচ শুরু করা হয় নির্ধারিত সময়ের অনেক পরে। বেশীরভাগ ম্যাচে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয় দুই দলের, সংঘর্ষ প্রতিরোধে ব্যর্থ হয় ম্যানেজমেন্ট টিম। দর্শক-সমর্থকদের হামলায় ফাইনাল খেলায় এনিম্যাল সায়েন্স এন্ড ভেটেরিনারি মেডিসিন অনুষদের আশিকুল ইসলাম ইমন নামের এক শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হয়। এমনকি নিয়মের ব্যত্যয় ঘটিয়ে আগের ম্যাচে লাল কার্ড পাওয়া খেলোয়াড়কে আপত্তির মুখেও পরের ম্যাচে মাঠে নামানো হয়। টুর্নামেন্টের দুটি ম্যাচে এমন ঘটনা ঘটে।
গ্রুপ পর্বের খেলায় পা ভেঙ্গে যায় ফজলে রাব্বি নামে খাদ্য ও পুষ্টিবিজ্ঞান অনুষদের এক শিক্ষার্থীর। নাক ফেটে যায় লোকমান হোসাইন নামের এনিম্যাল সায়েন্স এন্ড ভেটেরিনারি মেডিসিন অনুষদের অপর এক শিক্ষার্থীর। এছাড়াও খেলা চলাকালীন সময়ে গুরুতর আহত হয়ে মাঠ ছাড়েন অনেকে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এনিম্যাল সায়েন্স এন্ড ভেটেরিনারি মেডিসিন অনুষদের এক শিক্ষার্থী জানান,”ফাইনাল খেলার দিন মাঠে দর্শক ঢুকে এনিম্যাল সায়েন্স এন্ড ভেটেরিনারি মেডিসিন অনুষদের খেলোয়াড়দের উপর হামলা করে।এছাড়াও রেফারির কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েও অভিযোগ রয়েছে।”
এ শিক্ষার্থীদের দাবি করেন, “ভবিষ্যতে যাতে টুর্নামেন্ট হলে এনিম্যাল সায়েন্স এন্ড ভেটেরিনারি মেডিসিন অনুষদের সকল ম্যাচ দুই ক্যাম্পাসেই সমপরিমাণে অনুষ্ঠিত হয়”। এসময় তিনি ফাইনাল ম্যাচের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার সঠিক তদন্তের জোর দাবি জানান।
উল্লেখ্য, গত বছরেরও ব্যবসায় প্রশাসন এবং আইন ও ভূমি প্রশাসন অনুষদের ম্যাচ চলাকালীন সময় এমন সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে এবং খেলার মধ্যে বাজে ট্যাকেলের কারনে আইন ও ভূমি প্রশাসন অনুষদের একজন খেলোয়াড়ের পা ভেঙে যায়।
এ ব্যাপারে টুর্নামেন্ট পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক আবু ইউসুফের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “আমি আমার জায়গা থেকে কোনো প্রকার ব্যস্থাপনার কমতি রাখিনি, চেষ্টা করেছি সবকিছু সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করার। এ বিষয়ে ক্যাম্পাস খোলার পর কথা বলবো”
Array