নিজস্ব প্রতিবেদকঃ এশিয়ান টিভির গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি মোঃ খালেদ হোসেন ও জাভেদ হোসেন মিলে একটি ভূয়া প্রেসক্লাব খুলে গাইবান্ধার বিভিন্ন সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারী সহ বিভিন্ন ব্যবসায়ীকে একের পর এক হেনস্তা করার পাশাপাশি মাদক সেবন বিক্রী এবং চাদাবাজির অভিযোগ উঠেছে। খবর নিয়ে জানাযায়, গাইবান্ধা শহরের কাচারী বাজারে অবস্থিত গাইবান্ধা প্রেসক্লাব নামে বহু বছর আগে সংগঠনটি জেলায় প্রতিষ্ঠিত হয়। অনেক প্রবীন ও মেধাবী সাংবাদিকরা এই ক্লাবটিতে নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন যেখানে সদস্য রয়েছে প্রায় ১শ উপরে এই ক্লাবের সদস্য বিভিন্ন স্যাটেলাইট টেলিভিশন জাতীয় দৈনিক ও আঞ্চলিক পত্রিকার প্রতিনিধিগণ। মূল ধারার সাংবাদিক ছাড়া এই ক্লাবে সদস্য হতে পারেনা না অনেকেই। এতেই বাজে বিপত্তি গাইবান্ধায় অনেক ভুয়া এবং ভুঁইফোর সাংবাদিকরা আনাচে কানাচে ভরে গেছে তারা মূলধারার ক্লাব টিতে সদস্য পদ না পেয়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে প্রেসক্লাবের নামে বিভিন্ন দোকান খুলে বসেছে আর এই দোকানের সদস্যরা হলেন বিভিন্ন অনলাইন পোর্টাল ইউটিউবার। তাদের সাপোর্টে জেলার প্রবীণ সাংবাদিকরা এই পেশা থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন।। অনুসন্ধানে জানাযায় খালেদ হোসেন ফ্যাসিবীদ সরকারের আমলে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের শহর শাখার সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন আর এই ক্ষমতা অপব্যবহার করে বিভিন্ন জায়গায় সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারী বিভিন্ন ব্যবসায়ী ইটভাটা বালু ব্যবসায়ীকে কৌশলে তার ১ নং রেল গেটস্থ একটি অফিস কাম টর্চার সেল ছিল সেখানেই নিয়মিত বসত বাংলা মদের আসর। সেই সাথে কেহ চাঁদা দিতে অস্বীকার জানালে বিভিন্ন অনলাইন ও টেলিভিশনে নিউজ দেওয়ার হুমকি জানানোর পাশাপাশি তুলে এনে চালাত অমানবিক নির্যাতন।রবিন সেন নামের আরেক কথিত সাংবাদিক যে কিনা নিজের নামটিও লিখতে পারে না, সেই ছিল তার নির্যাতন বাহীনির প্রধান অস্ত্র। এই রবিন সেনকে নিয়মিত মাদকে বুদ করে রেখে তাকে দিয়েই চালাত চাদাবাজির দেন দরবার এবং হামকি ধামকি। এতেও যদি কোন কাজ না হতো তখন চলতো ভুক্তভোগীদের নাম্বারে ভূয়া সচিব সেজে ফোন দিয়ে ভয়-ভীতি দেখানো । এরপর দুদুকে মামলা দেবো টিএনও বরাবর অভিযোগ করব এসবের ভুক্তভোগি মিজানুর রহমান সবুজ নামে এক ব্যক্তি মানসিক টর্চার সহ্য করতে না পেরে সংবাদ কর্মিদের দারস্থ হন।। গত এক সপ্তাহ আগে ভুক্তভোগি সবুজের নামে এমনই একটি তথ্য উপাত্ত ছাড়া সংবাদ এশিয়ান টেলিভিশনে এবং ডেইলি বাংলাদেশ পত্রিকায় ভুয়া প্রতিবেদন প্রকাশ করে যা বিভিন্ন দপ্তরে ও সাংবাদিক মহলে মোঃ খালেদ হোসেন ও জাভেদ হোসেনকে নিয়ে গুঞ্জনের সৃষ্টি হয়েছে। গাইবান্ধার আলোচিত টুকু হত্যা মামলার আসামি খালিদ হোসেন ইতি মধ্যে ১৫ বছর সাজা ভোগ করেছেন এবং বর্তমানে গাইবান্ধা সদর থানায় খোঁজ নিয়ে জানা যায় তার বিরুদ্ধে আরো দুইটি নিয়মিত মামলার রয়েছে একটি মামলার আসামি ৩১ নাম্বার আসামি অন্যটি ৬১ নাম্বার আসামি। জেল থেকে বের হবার পরে খালেদের মুল ব্যবসা ছিল সুদের কারবার, পরে সেই সুদের কারবার কে বৈধ করতে নাম লেখান সাংবাদিকতায়। এমন একজন চিহ্নিত, সুদারু,মাদক সেবি, চাদাবাজ ব্যক্তি কিভাবে সাংবাদিক পরিচয়ে জেলা শহরে দাপিয়ে বেড়ায় সেটা অনেকের প্রশ্ন, এবং জনপ্রিয় স্যাটেলার চ্যানেল এশিয়ান টিভি প্রতিনিধি কিভাবে হলো নিয়ে গুঞ্জন সৃষ্টি হয়েছে। অপরদিকে জাভেদ হোসেনের ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে জানা যায়,তার জীবন চলা শুরু হয় বাইসাইকেল মেকানিক হিসেবে, সেখান থেকে শুরু করেন ভাংগারির ব্যবস্যা আর সেই ব্যবসার আড়ালেই চলে মাদক সেবন এবং ব্যবসা। এই মাদকের ব্যবসার সাথে মনির নামের একজন পুলিশ সদস্য জড়িত ছিল এবং পরবর্তিতে সেই পুলিশ সদস্য কয়েক হাজার পিস ইয়াবা সহ ধরা পড়লেও জাভেদ রয়ে যায় ধরা ছোয়ার বাহিরে। অনুসন্ধানে আরো জানাযায় এই জাভেদের ছোট ভাই বাবু ঢাকায় একজন অস্ত্র তৈরি ও চাদাবাজি মামলার আসামী। তার চাদার টাকায় কেনা মাইক্রোবাস ও প্রাইভেট কার গুলো দেখাশুনা করেন এই জাভেদ। সেই সুবাদে এবং সাংবাদিকতার পরিচয় ব্যবহার করে গাড়ি গুলোতে নিয়মিত মাদক আনা নেয়া এমনকি সেবন ও কররে। এ ছাড়াও সাইবার ক্রাইম জুয়া ও মাদকের মামলা সহ বেশ কয়েকটি মামলার আসামি জাভেদ হোসেন, চ্যানেল এস এর গাইবান্ধা প্রতিনিধি হিসাবে কাজ করেন, বলে বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে পরিচয় দেন। অথচ চ্যানেল এস এর হেড অফিসে কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা জানান অনেক আগেই জাভেদ হোসেন কে চ্যানেল এস থেকে চাকরিচুক্ত করা হয়েছে।
Array