যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে ভাষণ দেবেন। এটিই হবে জাতিসংঘে তার শেষ ভাষণ। কারণ, আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন না। তার স্থলে ডেমোক্রেটিক পার্টির মনোনয়নে মাঠে আছেন বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস।
সংগত কারণে এবারের ভাষণ স্মরণীয় করে রাখতে চাইছেন বাইডেন। তাই অধিবেশন শুরুর দিনের ভাষণে গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দিতে পারেন তিনি, ভয়েস অব আমেরিকার এক প্রতিবেদনে এমন ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে।
জাতিসংঘে মার্কিন রাষ্ট্রদূত লিন্ডা থমাস-গ্রিনফিল্ড বলেছেন, ‘আমরা প্রতি বছর অধিবেশনে কথা বলি। কিন্তু এবারের অধিবেশনে আরও সংকট এবং সংঘাতের তালিকা যোগ হয়েছে। যা বিশেষ মনোযোগ এবং পদক্ষেপের দাবি করে।’ বাইডেন এসব সংকট উত্তরণে প্রস্তাব পেশ করতে পারেন।
বিশ্লেষকরা বলছেন, বাইডেন এই বছরের ভাষণে ইসরায়েল ও ইউক্রেনের প্রতি তার সমর্থন নিয়ে আলোচনা করবেন। তিনি এই দুটি দ্বন্দ্বকে প্রধান চ্যালেঞ্জ হিসেবে সামনে আনবেন। মেয়াদ শেষের মুহূর্ত হওয়ায় তার রেখে যাওয়া উদ্যোগ কী করে সংঘাতের অবসান ঘটাতে পারে তার ব্যাখ্যা দিতে পারেন। এ ছাড়া কীভাবে পারস্পরিক ঐক্যের ভিত্তিতে বিশ্বে শান্তি আনা সম্ভব, জাতিসংঘ সনদের লঙ্ঘন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের হুঁশিয়ারিসহ নানা বিষয়ে বাইডেনের আলোকপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
প্রসঙ্গত, যুক্তরাষ্ট্রের আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়ে প্রচার চালাচ্ছিলেন জো বাইডেন। কিন্তু তার স্বাস্থ্যগত কারণে দল ও দলের বাইরে থেকে সরে যাওয়ার চাপ বাড়তে থাকে। বিশেষ করে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বিতর্কে অসংলগ্ন কথা বলে ব্যাপক সমালোচিত হন। এমন পরিস্থিতিতে বাধ্য হয়ে যুক্তরাষ্ট্রের আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী না হওয়ার ঘোষণা দেন জো বাইডেন। জুলাই মাসে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক পোস্টে ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হওয়ার দৌড় থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন তিনি। একই সঙ্গে দলীয় নতুন প্রার্থী হিসেবে ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের প্রতি নিজের সমর্থন জানান বাইডেন।
এক্স পোস্টে জো বাইডেন লিখেছিলেন, আমার সরে দাঁড়ানোটা আমার দল, আমার দেশ ও আমার নিজের জন্য সবচেয়ে মঙ্গলজনক। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করাটা আমার জন্য সবচেয়ে বড় সম্মানের।