পিরোজপুর প্রতিনিধি : সরকার যায় আবার সরকার আসে শুধু থেকে যায় দুবৃত্তায়নকারী। খোলস পরিবর্তন করে বহাল থেকে যায়। বলা হচ্ছে পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়া উপজেলার দখলদারের কথা । যখন যে সরকার ক্ষমতায় থাকে, এক শ্রেনীর দখলার সেই সরকারের নেতাদের সাথে আঁতাত করে দখল করে নেয় বিভিন্ন স্থানের খাস জমি। আওয়ামী সরকারের শাসন আমলে দখলের রাজত্ব কায়েম করা হয়েছিল। গত ৫ আগষ্ট আওয়ামীলীগ সরকারের পতন হবার পর থেকে শুরু হয়েছে নতুন করে দখলের প্রতিযোগীতা।এই নব্য দখলবাজ চক্র থেকে মঠবাড়িয়া পৌরবাসী প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কমনা করছে।
মঠবাড়িয়া পৌরসভার বিভিন্ন স্থান দখল করে গড়ে তোলা হয়েছে বিভিন্ন স্থাপনা। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে খাল ও রাস্তা ঘাট।বর্ষা মৌসুমে রাস্তা ঘাট, বাড়ী ঘর, ফসলী জমি ও মাছের খামার পানির নিচে তলিয়ে যায়। দক্ষিন বন্দরের জামাল শিকদার বলেন সুইজগেট করে দুপাশের খাল দখল করে অবৈধ স্থাপনা নির্মানের ফলে আমরা পানিতে ডুবে থাকি। নিউমার্কেটের বাবুল আকন বলেন রাস্তা দখল করে দোকান নির্মানের ফলে রাস্তায় রিস্কার যানযট লেগে থাকে। বিভিন্ন সূত্রের মাধ্যমে জানা যায় এসি ল্যান্ড কোয়ার্টারের দেয়াল ভেঙে গড়ে তোলা হয়েছে ২১টি দোকান, হাসপাতালের দেয়াল ভেঙে গড়ে তোলা ৩৫টি দোকান, কাঠ বাজারের দঃ বন্দর অংশে ১০০% খাল দখল করে গড়ে তোলা ১০টি আবাসিক ঘর,পুরাতন চারা হাটের খালে ১৪টি দোকান, মুন্নি সিনেমা হলের সম্মুখের খালে ৫টি দোকান, দক্ষিণ বন্দর ব্রিজের তল ( খাল) দখল করে ৭-৮ টি দোকান , পুরাতন চারা হাটের পশ্চিম দিকের খালে ১০টি আবাসিক বাড়ি, ৩ নং ওয়ার্ডে হাসপাতাল ব্রিজের দ. পার্শ্বে মরহুম ইউসুফ ফরাজী বড় বড় দুটো দাগের সম্মুখ অংশ ২০-২৫ টি দোকান, ৩নং ওয়ার্ডের চাতালের খাল বন্ধ করে ১৬-১৮ টি টিনশেট ঘর নির্মান, ০৩ নং ওয়ার্ড সংলগ্ন টিকিকাটা অংশের খাল ভরাট করে শতাধিক ঘর নির্মান, বহেরাতলা ব্রিজের খাল গরুহাট দখল করে ১৫টি দোকান নির্মান, মাছ বাজার সংলগ্ন ফুটপাত দখল করে গড়ে ওঠা ২১ খানা দোকান, দয়াল লঞ্চের ঘাট দখল গড়ে তোলা ২৫ খানা আবাসিকসহ দোকান, দক্ষিণ বন্দর তরকারি হাট দখল করে ৭ খানা দোকান, , কষাইখানার দোতলা দখল করে আরেক তলা নির্মাণ, রিজার্ভ পুকুরের একঅংশ দখল করে ১৫ টি দোকান নির্মাণ, এসিল্যান্ডের কোয়ার্টারের পুকুর দখল করে বালি ভরাট করে রাখা হয়েছে পজিশন বিক্রির অপেক্ষায় আছে, কেন্দ্রীয় মন্দিরের পিছানের খাল দুপাশ থেকেই দখল করা হয়েছে, মুচিবাড়ি সড়কের খালের পশ্চিম পাড় দখল, নিউ মার্কেটের খাল দখল ও আরও অপ্রকাশিত অনেক স্থান।
মঠবাড়িয়া পৌরসভাবাসী অবৈধ দখলের স্থাপনা অপসারন ও অবৈধ দখলবাজদের হাত থেকে স্থায়ীভাবে মুক্তি পাওয়ার জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কমনা করছে।