ছাত্রলীগের যেকোনো কর্মসূচি ও কার্যক্রমের সঙ্গে সব ধরনের সম্পৃক্ততাকে অস্বীকার করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শাখা ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি এস এম ফরহাদ।
সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেন তিনি।
এস এম ফরহাদ জানান, হল ডিবেটিং ক্লাবের সভাপতি ও ডিপার্টমেন্ট ডিবেটিং ক্লাবের সেক্রেটারি হিসেবে দায়িত্ব পালনকালীন সময়ে ডিবেটের বিভিন্ন আয়োজনে ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিদের সঙ্গে আমার উপস্থিত থাকার ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখা যাচ্ছে। এগুলো সবই ছিল ডিবেট ক্লাব সংশ্লিষ্ট আয়োজন। কোনো রাজনৈতিক আয়োজন নয়।
ঢাবি শাখা ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি আরও জানান, হল বা ডিপার্টমেন্টের কমিটিতে কাকে রাখা হবে সেটা একান্ত ছাত্রলীগের সিদ্ধান্ত। সেখানে আমাকে কেন জড়ানো হচ্ছে, যেখানে আমি তাদের কার্যক্রমের সঙ্গে কোনোভাবেই সম্পৃক্ত নই। বরং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনসহ সাধারণ শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ে অতীতের সব আন্দোলন-সংগ্রামে আমি সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছি। আমাকে ছাত্রলীগের সঙ্গে জড়ানোর বিষয়টিকে ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনের স্পিরিট নষ্ট করার একটি অপচেষ্টা বলে আমি মনে করি।
এরআগে শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শাখার সভাপতির পরিচয় প্রকাশ্যে আসার পর আলোচনায় আসে শিবিরের সেক্রেটারি নিয়ে। রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) সমন্বয়ক আব্দুল কাদের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৯ দফা সম্পর্কে একটি স্ট্যাটাস দেন। ওই স্ট্যাটাসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিবিরের সেক্রেটারির প্রসঙ্গ টেনে আনেন তিনি। এর পরই শুরু হয় তুমুল আলোচনা।
আব্দুল কাদের ওই স্ট্যটাসে ফরহাদ নামের একজনকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিবিরের সেক্রেটারি হিসেবে পরিচয় করিয়ে দিলেও বিস্তারিত কিছু জানায়নি তিনি।
তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি সূত্র বলছে, শিবিরের সেক্রেটারি হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেওয়া ফরহাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের ২০১৭-১৮ সেশনের এবং কবি জসিম উদদীন হলের আবাসিক শিক্ষার্থী। তিনি ২০২২-২৩ সেশনে জসীম উদদীন হল ডিবেটিং ক্লাবের সভাপতিও ছিলেন। এ ছাড়া এস এম ফরহাদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত পার্বত্য চট্টগ্রামের শিক্ষার্থীদের সংগঠন পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র সংসদের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
এদিকে শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টে সাদিক কায়েম বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার বর্তমান সভাপতি হিসেবে দাবি করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী।
ফেসবুক পোস্টে সাদিক বলেন, ফ্যাসিস্ট শোষণ শুধু ছাত্র রাজনীতি নয়, রাজনীতির সংজ্ঞাই পালটে দিয়েছে। ফ্যাসিবাদে কোনো রাজনীতি থাকে না। বিরাজনীতি ফ্যাসিবাদের ভাষা।
একই সঙ্গে তিনি বলেন, রাজনৈতিক সংস্কারে অবশ্যই চব্বিশের শহীদদের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন থাকতে হবে, তা না হলে ভেস্তে যাবে আমাদের এই স্বাধীনতা। আমরা চাই ছাত্র রাজনীতির সংস্কার গবেষণা, পলিসি ডায়ালগের মধ্য দিয়ে তা বাস্তবায়িত হোক।
উল্লেখ্য, ২০০৮ সালে সর্বশেষ প্রকাশ্যে কার্যক্রম ছিল বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ছাত্রসংগঠন ছাত্র শিবিরের।
Array