নাটোর প্রতিনিধিঃ
প্রিপেইড মিটার বাতিল সহ ৭ দফার দাবিতে নাটোরে নেসকোর নির্বাহী প্রকৌশলীর দপ্তর ঘেরাও করেছে ছাত্র-জনতা। আজ মঙ্গলবার সকাল ১১টায় শহরের আলাইপুর এলাকায় অবস্থিত ওই কার্যালয় ঘেরাও করা হয়। প্রায় এক ঘণ্টাব্যাপী চলে এ কর্মসূচি। এসময় স্লোগানে স্লোগানে মুখোর হয়ে যায় পুরো এলাকা। পরে সেনাবাহিনীর আশ্বাসে ছাত্র-জনতা ঘটনাস্থল ছেড়ে যায়। এর আগে সকাল থেকে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার শত শত মানুষ ও শিক্ষার্থী জড়ো হতে থাকেন প্রকৌশলীর দপ্তরের সামনে। এসময় নিবাহী প্রকৌশলী দপ্তরের প্রধান গেটে ঘেরাও করে রাখে শিক্ষার্থী ও সাধারণ জনগণ। মো.সাব্বির নামে এক ভুক্তভোগী বলেন, আমরা এ রাক্ষুসি প্রিপেইড মিটার চাই না। এ মিটারের মাধ্যমে মানুষকে ফকির বানানো হচ্ছে। ৫০০ টাকা মিটারে তুললে সঙ্গে সঙ্গে ১৫০ টাকা কেটে নেয়। সেজন্য আমরা এ মিটার বাতিল চাই এবং পূর্বের মিটার আমাদের ফিরিয়ে দেওয়া হোক। প্রতি মাসে দেড় থেকে ২ হাজার টাকা তুললেও মাস যেতে চায় না। আমারা টাকা তুলতে তুলতে অতিষ্ঠ হয়ে যায়। সেজন্য দুর্নীতিবাজ এ নেসকোর অফিস ঘেরাও করেছি। আমরা দেশের সব ক্ষেত্রে স্বচ্ছলতা চাই। রাব্বি হোসেন নামে আরেক ভুক্তভোগী বলেন, এই ডিজিটাল মিটার বন্ধ চাই। খাবো না মিটারে টাকা তুলবে। আমরা টাকা তুলে কুলাইতে পারি না। আমরা সেজন্য ছাত্র ও সাধারণ মানুষ আজ প্রতিবাদ করতে অফিসারের অফিস ঘেরাও করছি। পরে সেনাবাহিনীর আশ্বাসে আমরা কর্মসূচি বন্ধ করেছি। এক সপ্তাহ সময় নিয়েছে সেনাবাহিনী। শিক্ষার্থী সাকিল হোসেন বলেন, দেশকে দ্বিতীয় বার স্বাধীন করেছি, যেন দেশে কোনো বেআইনি কিছু না হয়। বিদ্যুৎ অফিসের এ প্রিপেইড মিটার অবিলম্বে বাতিল চাই। আগের মিটার ফিরত চাই। সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা সাদাদ বলেন, আপনাদের সকল দাবি মেনে নেওয়া হবে। আপনারা ৭ দিন সময় দিন। আমরা আপনাদের সকল দাবি ৭ দিনের মধ্য পূরণ করবো। আপনারা শান্ত হয়ে বাড়ি চলে যান। আমরা আপনাদের পাশে রয়েছি। নেসকো নাটোর কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী বিশাল আগারওয়াল জানান, ছাত্র-জনতার দাবিসমূহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে। সমাধানের জন্য সময় প্রয়োজন। গ্রাহকদের ধৈর্য ধরার অনুরোধ জানান তিনি।
Array