নোবিপ্রবি প্রতিনিধি: নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়(নোবিপ্রবি) শাখা ছাত্রলীগের অন্তর্গত বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মালেক উকিল হল ছাত্রলীগের ১০১ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।
রবিবার (২০ মে) রাতে হল ছাত্রলীগের সভাপতি নাজমুল হাসান লিশু ও সাধারণ মো. আব্দুল্লাহ বায়েজীদ তপুর সুপারিশক্রমে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি জাহিদুর রহমান (নাঈম রহমান) ও সাধারণ সম্পাদক জাহিদ হাসান শুভ এ কমিটির অনুমোদন দেন।
এর আগে চলতি বছরের ২৯ জানুয়ারি নাজমুল হাসান লিশুকে সভাপতি ও মো. আব্দুল্লাহ বায়োজীদ তপুকে সাধারণ সম্পাদক করে হল শাখা ছাত্রলীগের আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়। এবার হল কমিটি ঘোষণার সাড়ে তিন মাসের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটির অনুমোদন দিল শাখা ছাত্রলীগ।
এদিকে প্রথমবারের মতো সাংগঠনিক পরিচয় পাওয়ায় বেশ আনন্দ ও উচ্ছ্বাস বিরাজ করছে নেতাকর্মীদের মধ্যে। বিভিন্ন পদে দায়িত্বপ্রাপ্তরা বলছেন, অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে কমিটি পূর্ণাঙ্গ করায় নোবিপ্রবি ছাত্রলীগের গতিশীলতা আরো বৃদ্ধি পাবে। মালেক উকিল হল শাখা ছাত্রলীগ ও নোবিপ্রবি ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তারা।
পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে সাংগঠনিক সম্পাদক পদ পেয়ে আবু রিফাত নুর বলেন, গত ২০ মে বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মালেক উকিল হল শাখা ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি দেয়ার মাধ্যমে নতুন এক ইতিহাস রচনা করেছেন নোবিপ্রবি ছাত্রলীগের সময়ের সেরা পরিষদ নাইম-শুভ। তাদের রাজনৈতিক দূরদর্শিতায় মালেক হল ছাত্রলীগ আজকে সুসংগঠিত এবং ঐক্যবদ্ধ। আমরা তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ থাকব সারাজীবন।
এ বিষয়ে মালেক উকিল হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল্লাহ বায়েজীদ তপু বলেন, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের অন্তর্গত প্রথম সাংগঠনিক স্বীকৃতিপ্রাপ্ত ইউনিট এবং বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো পূর্ণাঙ্গ কমিটি পেল বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মালেক উকিল হল ছাত্রলীগ। নোবিপ্রবি ছাত্রলীগের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক ছাত্ররাজনীতি গতিশীল এবং সুশৃঙ্খল করতে যেভাবে বিভিন্ন ইউনিটের কমিটি গঠন করেছেন এবং পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন করছেন এর ফলে ইতোমধ্যেই সারা দেশে সময়ের সর্বাধিক আলোচিত ইউনিট হিসেবে পরিচয় পেয়েছে নোবিপ্রবি ছাত্রলীগ। বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মালেক উকিল হল ছাত্রলীগ কর্মীরা পূর্ণাঙ্গ কমিটি পেয়ে উচ্ছ্বাসিত। আমি বিশ্বাস রাখি, এই কমিটির সকল নেতৃবৃন্দ জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণে নিয়োজিত থাকবে। সেই সাথে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের ইতিহাসের উল্লেখযোগ্য অংশ হয়ে আলো ছড়াবে।
সভাপতি নাজমুল হাসান লিসু বলেন, সর্বপ্রথম নোবিপ্রবি ছাত্রলীগের স্বর্ণযুগের দুই কর্ণধার সংগ্রামী সভাপতি নাঈম রহমান ভাই এবং বিপ্লবী সাধারণ সম্পাদক জাহিদ হাসান শুভ ভাইয়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করসি, যারা আমাকে মালেক উকিল হল শাখা ছাত্রলীগের শীর্ষস্থানীয় দায়িত্ব প্রদান করে নোবিপ্রবি ছাত্রলীগের জন্য কিছু করার সুযোগ করে দিয়েছেন। দায়িত্ব পাওয়ার পরদিন থেকেই কর্মীদের স্বীকৃত প্রদান ছিলো আমার মূল লক্ষ্য। কারণ সকলেই অবগত আছেন নোবিপ্রবি ছাত্রলীগের কর্মীরা দীর্ঘদিন নেতৃত্বহীনতা এবং পরিচয়হীনতায় ভুগছিলেন। তাই নোবিপ্রবি ছাত্রলীগকে গতিশীল করে তোলা এবং সর্বোচ্চ সাংগঠনিক ইউনিটে পরিণত করতে দুই নেতা যেমন দায়িত্ব পাওয়ার সাথে সাথে সবগুলো ইউনিটের কমিটি প্রদান করেছেন।
তেমনি আমাদের প্রতিও নির্দেশনা ছিলো যতদ্রুত সম্ভব পূর্ণাঙ্গ কমিটি তৈরি করা। তারই ধারাবাহিকতায় আব্দুল মালেক উকিল হল শাখা ছাত্রলীগ নোবিপ্রবিতে সর্বপ্রথম পূর্ণাঙ্গ কমিটি প্রদান করেছেন। এতে করে নেতাকর্মীরা যেমন নিজেদের কয়েক বছরের পরিশ্রমের স্বীকৃতি পেয়েছেন, সে সাথে প্রবল উৎসাহ-উদ্দীপনা নিয়ে সাংগঠনিক ছাত্ররাজনীতিতে মনোনিবেশ করেছেন। নোবিপ্রবিতে ছাত্ররাজনীতিকে সমৃদ্ধ করতে এই কমিটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আমি মনে করি। সেই সাথে নবগঠিত পূর্ণাঙ্গ কমিটির নেতাদের প্রতি নির্দেশনা থাকবে তারা যেন ছাত্রলীগকে ভালোবেসে আদর্শিক ছাত্ররাজনীতির চর্চা করে যায়।
Array