• আজকের পত্রিকা
  • ই-পেপার
  • আর্কাইভ
  • কনভার্টার
  • অ্যাপস
  • নিম্নমানের খাবারে চলছে জবির ক্যাফেটেরিয়া 

     বার্তা কক্ষ 
    17th May 2024 10:43 am  |  অনলাইন সংস্করণ

    জবি প্রতিনিধি: ক্যাফেটেরিয়ায় দামের তুলনায় খাবারের দাম অনেক বেশি এমন কথা প্রায় শুনা যায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে। নিম্নমানের খাবারের বেশি দাম রাখায় প্রতিদিন ভোগান্তিতে পড়ছেন হাজার হাজার বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী।

    বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাফেটেরিয়ার খাবারের মান যাচ্ছেতাই অবস্থা। বিশ্ববিদ্যালয়টিতে বর্তমানে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় বিশ হাজার। কিন্তু এই বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থীর বিপরীতে রয়েছে মাত্র একটি ক্যাফেটেরিয়া। অবকাশ ভবনের নিচতলায় অবস্থিত ক্যাফেটেরিয়াটিতে আসন সংখ্যা মাত্র ৬০ টি। বিশ্ববিদ্যালয়টি পুরোপুরি আবাসিক না হওয়ায় শিক্ষার্থীদের সকাল এবং দুপুরের খাবার খেতে হয় এই ক্যাফেটেরিয়াটিতে।

    সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ক্যাফেটেরিয়াটিতে সকালবেলা ঠিকমতো রুটি পাওয়া গেলেও ডাল পাওয়া যায় না। অধিকাংশ রুটিই অর্ধেক তৈরি করে শিক্ষার্থীদের দিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ফলে অনেকে ক্ষুদা মেটানোর জন্য অনিচ্ছা সত্ত্বেও এইসব শক্ত রুটিই খাচ্ছে। দুপুরে গিয়ে দেখা যায়, মুরগি, মাছ আর ডিম ছাড়া কিছুই থাকে না। সেটিও দুপুর আড়াইটার পর আর পাওয়া যায় না। তাছাড়া ক্যান্টিনে শিক্ষার্থীদের জন্য ফ্রিজ না থাকায় কোন ধরনের কোল্ড ড্রিংকস কিংবা ঠান্ডা পানির সুবিধাও নেই।

    ক্যাফেটেরিয়ার অব্যবস্থাপনা ও অনিয়ম নিয়ে শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, টেবিলগুলোতে সবসময় খাবারের পর্যাপ্ত পানি থাকে না। পরোটার নামে বিক্রি হচ্ছে শক্ত রুটি। খাবারের টেস্ট ও অত্যন্ত নিম্নমানের। তারা যে সকালের মুরগীর তেহেরি বিক্রি করেন সেটার প্রস্তুতপ্রণালী এবং উপকরণসমূহ সর্বোচ্চ দাম ৩০ টাকা হতে পারে। যা বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। খাবারের তালিকায় ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে মুরগী। সেই মুরগীতেও ঠিক মতো মসলা দেওয়া না।

    শিক্ষার্থীরা আরো অভিযোগ করে বলেন, ক্যাম্পাসের বাইরে খাবারের দাম আর ক্যাফেটেরিয়ার খাবারের দাম প্রায় সমান। অনেক সময় টানা ক্লাস বা পরীক্ষা থাকায় বাধ্য হয়েই ক্যাফেটেরিয়ার খাবার গ্রহণ করতে হয়। ক্যাম্পাসের বিশ হাজার শিক্ষার্থীর জন্য সকাল আর দুপুরের খাবারের জন্য সবাইকে ক্যাফেটেরিয়ার খাবারের ওপরই নির্ভর করতে হয়। তাছাড়া বসার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ আসন নেই। দুপুরে ক্লাসের মধ্যবর্তী বিরতিতে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতির তুলনায় পর্যাপ্ত জায়গা থাকা সত্ত্বেও নেই আসন।

    ক্যাফেটেরিয়ার দায়িত্বে থাকা ম্যানেজার মাসুদ আলম বলেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বাজারের সব কিছুই বেশি দামে কিনতে হয়। তারপর কয়েকজন এসে টাকা না দিয়ে ফাও খেয়ে চলে যায়। আমার এখানে ১৬ জন কর্মচারী, ওদের সবাইকে প্রতিদিন ৬৩০০ টাকা করে দিতে হয়।

    জবি ক্যাফেটেরিয়ার খাবারের বিষয়ে জবি ছাত্রকল্যাণের পরিচালক অধ্যাপক ড. জি এম আলামিন বলেন, ক্যাফেটেরিয়ার খাবারের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অবগত আছে।ক্যাফেটেরিয়ার ম্যানেজার মাসুদের সাথে খাবারের মান উন্নত করার জন্য কথা বলবো। আমি মাঝে মাঝে সেখানে গিয়ে শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে খাবারের গুনগত মান কেমন সেটা জানার চেষ্টা করি।
    শিক্ষার্থীদের জন্য কোনরকম ভর্তুকি দেয় কিনা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সেই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে ছাত্রকল্যাণ পরিচালক আলামিন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্যাস, পানি, বিদ্যুৎ এবং ক্যাফেটেরিয়ার ভাড়া নামমাত্র নিয়ে থাকে। এইটার কারন যাতে শিক্ষার্থীরা খাবারের গুনগত মান ভালো পায়।

    তাছাড়া সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র ক্যাফেটেরিয়াটি ভুয়া ট্রেড লাইসেন্স দিয়ে চালানোর অভিযোগ উঠেছে। ২০১৯ সালে ক্যাফেটেরিয়া পরিচালনার দায়িত্ব নেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী শরীফুল ইসলাম। বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত থাকায় শরীফুল তৎকালীন ক্যাফেটেরিয়ার ব্যবস্থাপক মাসুদের নামে সব কাগজপত্র করেন। আসল ট্রেড লাইসেন্সে ক্যাফেটেরিয়ার নাম ছিলো ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাফেটেরিয়া’ এবং মালিকের নাম ছিল মাসুদ আলম। কিন্তু পরে মাসুদ সেই লাইসেন্সের সব তথ্য ঠিক রেখে টেম্পারিংয়ের মাধ্যমে শুধু প্রতিষ্ঠানের নাম পরিবর্তন করে ‘মাসুদ অ্যান্ড কোং’ করেন। কিন্তু ক্যাফেটেরিয়াটির চার বছরেও লাইসেন্স নবায়ন করা হয়নি।

    টেম্পারিংয়ের বিষয়ে কর্মচারী শরীফুল ইসলাম বলেন, ২০১৯ সালে আমি ক্যাফেটেরিয়ার দায়িত্ব নিয়েছিলাম। আমি যেহেতু বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত ছিলাম তাই সবকিছু তৎকালীন ক্যাফেটেরিয়ার ব্যবস্থাপক মাসুদের নামে করি। করোনার পর ২০২৩ সালে মাসুদ বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন কর্মকর্তা ধরে সিস্টেম করে সেই লাইসেন্সের সব তথ্য ঠিক রেখে টেম্পারিংয়ের মাধ্যমে শুধু প্রতিষ্ঠানের নাম পরিবর্তন করে ‘মাসুদ অ্যান্ড কোং’ করেন এবং আমাকে বাদ দিয়ে দেন।

    শরীফুলের সব অভিযোগ অস্বীকার করে মাসুদ বলেন, শুরু থেকেই শরীফুল আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র কর আসছে। তার দাবি করা সব তথ্য মিথ্যা। ভুয়া ট্রেড লাইসেন্সের বিষয়ে মাসুদ বলেন, প্রতিবছরই লাইসেন্স নবায়ন করতে হয়। এই বছর লাইসেন্স পেতে একটু সময় লাগে,নবায়ন করা ট্রেড লাইসেন্সের কপি চলতি মাসের ৯ তারিখ হাতে পেয়েছি।

    Array
    We use all content from others website just for demo purpose. We suggest to remove all content after building your demo website. And Dont copy our content without our permission.
    আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
    এই বিভাগের আরও খবর
     
    Jugantor Logo
    ফজর ৫:০৫
    জোহর ১১:৪৬
    আসর ৪:০৮
    মাগরিব ৫:১১
    ইশা ৬:২৬
    সূর্যাস্ত: ৫:১১ সূর্যোদয় : ৬:২১

    আর্কাইভ