শরীয়তপুর প্রতিনিধি: শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জে নিষিদ্ধ বরিং ড্রেজার (স্থানীয় নাম আত্মঘাতী ড্রেজার) দিয়ে নদী থেকে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। আত্মঘাতী এই ড্রেজার দিয়ে সমতল মাটির তলদেশ থেকে বালু উত্তোলনের ফলে ফসলি জমি দেবে যাওয়াসহ আশপাশের পরিবেশেরও ভয়াবহ ক্ষতির আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। এর ফলে মারাত্মক হুমকির মুখে পড়ছে পরিবেশ-প্রতিবেশ।
ভেদরগঞ্জ উপজেলায় গত দুই মাস ধরে রামভদ্রপুর ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ড ডলির মার খামারের পূর্ব পাশে কীর্তিনাশা নদী থেকে খননযন্ত্র ড্রেজার মেশিন বসিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছেন রামভদ্রপুর এলাকায় বালু ব্যবসায়ী ও ড্রেজার মালিক ইয়াসিন মৃধা, অবাধে এ বালু উত্তোলন করে বিক্রি করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। নদীর গভীর থেকে অব্যাহত বালু উত্তোলনের ফলে ভাঙনের ঝুঁকিতে পড়েছে নদীর তীরবর্তী আবাদি জমি কার্তিকপুর ব্রিজ ও বসতভিটা।
বুধবার (১৪ মে) সরজমিন দেখা যায়, ডলির মার খামারের পূর্ব পাশে নদীতে প্লাস্টিকের ড্রাম ও বাঁশ দিয়ে মাচা তৈরি করে সেখানে খনন যন্ত্র বসানো হয়েছে। খননযন্ত্র দিয়ে নদীর তলদেশ থেকে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। তবে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসী।
ড্রেজার পরিচালনাকারী আল-আমীন নামে এক শ্রমিক বলেন, আমরা কাজ করি মজুরী পাই। নদী থেকে বালু উত্তলন করা বৈধ, অবৈধ এগুলো মালিক জানে। আপনি ইয়াসিন মৃধা’র সাথে যোগাযোগ করেন।
এবিষয়ে যোগাযোগ করা হলে ড্রেজার মালিক ইয়াসিন মৃধা জানান, সবাইকে ম্যানেজ করে কাজ করতে হয়। নদী থেকে বালু উত্তলন করা অবৈধ সেটা আমিও জানি। আমি এখন বিজি আছি আপনার সাথে পরে কথা বলবো।
এবিষয়ে ভেদরগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি), মো: ইমামুল হাফিজ নাদিম বলেন, বরিং ড্রেজার দিয়ে ভুগর্ভস্থ ও নদী থেকে বালু উত্তোলন করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। এ ব্যাপারে অবৈধ ড্রেজার মালিক ও বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Array