যুক্তরাজ্যের শিশু সন্তানের সামনে স্ত্রীকে হত্যাকারী স্বামী হাবিবুর মাসুমকে আদালতে হাজির করা হয়েছে। নিহত ওই স্ত্রীর নাম কুলসুমা আক্তার। গত সপ্তাহে দেশটির ব্র্যাডফোর্ড শহরে শিশু সন্তানের সামনেই তার মাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে অভিযুক্ত হাবিবুর।
পরে তিনদিনের তল্লাশির পর তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) রাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাজ্যের ব্র্যাডফোর্ড শহরে শিশু সন্তানের সামনে মা কুলসুমা আক্তারকে ছুরিকাঘাতে হত্যার অভিযোগে বাংলাদেশি হাবিবুর মাসুমকে (২৫) আদালতে হাজির করা হয়েছে। গত সপ্তাহের শনিবার এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
এরপর তিন দিনের তল্লাশি শেষে গত মঙ্গলবার অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে ওয়েস্ট ইয়র্কশায়ার পুলিশ। পরদিন বুধবার তাকে হত্যাকাণ্ডের দায়ে অভিযুক্ত করা হয়। লেমিংটন এভিনিউয়ের বাসিন্দা মাসুমের বিরুদ্ধে ধারালো অস্ত্র রাখারও অভিযোগ আনা হয়েছে।
বিবিসি বলছে, অভিযুক্ত স্বামী হাবিবুর মাসুমকে বৃহস্পতিবার ব্র্যাডফোর্ড ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয় এবং শুক্রবার তাকে ক্রাউন কোর্টে হাজির করার জন্য রিমান্ডে নেওয়া হয়।
ধূসর রঙের সোয়েটশার্ট পরা মাসুম আদালতে ছয় মিনিটের শুনানির সময় শুধুমাত্র তার নাম, বয়স এবং ঠিকানা নিশ্চিত করার জন্য কথা বলেন।
এর আগে গত শনিবার পাঁচ মাস বয়সী শিশু সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে কেনাকাটা করতে বের হয়েছিলেন কুলসুমা আক্তার। সে সময় নিজের শিশু সন্তানের সামনেই ২৭ বছর বয়সী এই মাকে ছুরিকাঘাত করেন মাসুম। কুলসুমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হলেও তিনি মারা যান। তবে শিশুটির কিছু হয়নি।
এদিকে প্রকাশ্য দিবালোকে ছুরিকাঘাতে হত্যার পর থেকে মাসুম পলাতক ছিলেন। পরে তাকে খুঁজে বের করতে বড় ধরনের অভিযান চালায় পুলিশ এবং শেষমেষ গত মঙ্গলবার তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
কুলসুমা আক্তারের চাচাতো ভাই আফতাব মিয়া বিবিসিকে জানান, দুই বছর আগে যুক্তরাজ্যে অধ্যয়নরত স্বামী মাসুমের সঙ্গে বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাজ্যে এসেছিলেন কুলসুমা।
যুক্তরাজ্যে যাওয়ার পর শুরুতে তারা ওল্ডহাম এলাকায় থাকতেন। তবে তাদের পারিবারিক কলহ শুরু হলে একপর্যায়ে তা থানা-পুলিশ পর্যন্ত গড়িয়েছিল।
ওয়েস্ট ইয়র্কশায়ার পুলিশ জানিয়েছে, একজন অপরাধীকে সহায়তা করার সন্দেহে গত সোমবার চেশায়ার এলাকায় গ্রেপ্তার হওয়া ২৩ বছর বয়সী এক ব্যক্তিকে জামিনে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া একজন অপরাধী এবং মাদক অপরাধে সহায়তা করার সন্দেহে অন্য চারজন ব্যক্তিকে আইলেসবারিতে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। পরে তারাও জামিনে মুক্তি পেয়েছেন।
Array