এফ.জে ওমর, ডামুড্যা (শরীয়তপুর) থেকে:
শরীয়তপুরের ডামুড্যায় সন্ত্রাসী হামলায় গুরুত্বর আহত জামাল আকন ও আনসার সদস্য নান্নু বেপারীর অসহায় পরিবারের পাশে নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান করে পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও গোসাইরহাট সার্কেল আবু সাঈদ।
মঙ্গলবার (৪ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৯টায় আহত জামাল আকনের বাড়ি ডামুড্যা পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ড ও নান্নু বেপারীর দারুল আমান ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডে বকুলতলার বাড়িতে, শরীয়তপুর পুলিশ সুপার মোঃ সাইফুল ইসলাম এর দিক নিদেশনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও গোসাইরহাট সার্কেল আবু সাঈদ এবং ডামুড্যা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শরীফ আহমেদ উপস্থিত হয়ে জামাল ও নান্নুর পরিবারের কাছে নগদ অনুদান প্রদান করেন।
এসময় জামালের বাড়িতে ছিলেন তার অসুস্থ বৃদ্ধ-মা মনোয়ারা বেগম মেয়ে লায়লা, ছেলে আল আমিন ও ছোট মেয়ে নীলা ও নান্নু বেপারীর বাড়িতে ছিলেন তার স্ত্রী, দুইটা ছোট ছোট ছেলে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও গোসাইরহাট সার্কেল আবু সাঈদ জানান, জামাল আকন ও আনসার সদস্য নান্নু বেপারী আহত হওয়ার পর থেকেই সব সময় খোজ খবর নিতাম। আজকে পুলিশ সুপার স্যারের দিক নিদের্শনায় তাদের বাড়িতে এসে নগদ অর্থ প্রধান করলাম। ইনশাআল্লাহ সামনে সব সময় তাদের পাশে দাড়াবো ও খোঁজ খবর রাখবো।
আহত আনসার সদস্য নান্নু বেপারী বলেন, আমি আহত হওয়ার পর সাথে সাথেই পারর্সোনাল এম্বুলেন্স দিয়ে সার্কেল স্যার ও ওসি স্যার আমাকে হাসপাতেলে পাঠানোর ব্যবস্তা করেন। সার্কেল স্যার সব সময় আমার খোঁজখবর রেখেছেন। আমি আমার বাচ্চাদের ভাগ্যর জোরে ও সার্কেল স্যার এবং ওসি স্যারে আন্তরিক সহযোগিতায় আল্লাহ আমাকে বাঁচিয়ে রেখেছেন। আমি আমার অন্তর থেকে স্যারদের কে ধন্যবাদ জানাই। একই কথা বলেন আহত জামাল আকনের পরিবার।
উল্লেখ্য গত ২০ সেপ্টেম্বর উপজেলার দারুল আমান ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডে বকুলতলা নামক স্থানে লামিয়া নামে এক শিশুর লাশ পাওয়া যায়। বিষয়টি জানার জন্য স্থানীয় সন্দেহভাজন উজ্জ্বল ফকিরকে জিজ্ঞেস করতে গেলে উজ্জ্বল ফকির ধারালো ধা দিয়ে দিন মজুর জামাল আকন ও স্থানীয় আনসার সদস্য মোঃ নান্নু বেপারী কে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। বর্তমানে জামাল আকন ও আনসার সদস্য নান্নু বেপারী ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে বাড়িতে অবস্থান করছে।
Array