স্টাফ রিপোর্টার: চাঁদপুরে রাতের আধারে অবৈধ বালু উত্তোলনের মহা উৎসবে মেতেছেন মতলব উত্তরের কলাকান্দা ইউপি চেয়ারম্যান সোবহান সরকার সুভা সহ ও তার অনুসারীরা। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মতলব উত্তর দশানী বাহাদুরপুর নদীতে ৮-১০ টি ডেজার বসিয়ে অবৈধ ভাবে বালু কেটে নিয়ে যাচ্ছে সুভার নেতৃত্বে অসাধু বালু ব্যবসায়ীরা।
মদিনার আলো ডেজার সহ একাধিক ড্রেজার দিয়ে মোহনপুর, সিকিরচর, বাহাদুরপুর, বুরচর, খুনেরচর ও বাহেরচ এলাকায় ইউপি চেয়ারম্যান ছোবাহান সরকার সুভা নিজস্ব ড্রেজারের মাধ্যমে বালু কাটছেন, অন্যকেউ ড্রেজার দিয়ে বালু উঠালে তাদের উপর অতর্কিত হামলা করে সুভা বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা।
স্থানীয়রা জানায়, মেঘনা নদীতে সুভা চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে অসাধু বালু ব্যবসায়ীরা দিনের পর দিন অবৈধভাবে বালু ব্যবসা করে যাচ্ছে। বালু কাটার বিরুদ্ধে কেউ কথা বললে দুর্বৃত্তদের দিয়ে তার ঘর বাড়িতে অতর্কিত হামলা করে ভাংচুর ও লুটপাট চালানোর মতো ঘটনা ঘটিয়ে দেন। কিছু হলেই সুভা চেয়ারম্যান তার দল-বল নিয়ে অস্ত্র দিয়ে মহড়া দেন।
স্থানীয় এক জেলে জানান, কলাকান্দা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সুভা সন্ত্রাসীদের গডফাদার, তিনি বিভিন্ন সময় প্রভাব বিস্তার করে, বিভিন্ন মানুষের ঘরবাড়ির মালামাল লুট করে নিয়ে যায় এবং অবৈধভাবে নদীতে ডেজার মেশিন লাগিয়ে, শতকোটি টাকার হাতিয়ে নিচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, সুভা চেয়ারম্যান সহ বাবলা ডাকাত নিজেদের আধিপত্য বিস্তার করে বিভিন্ন সময় নদীতে ডাকাতি করেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ভুক্তভোগী বলেন, মেঘনা নদীতে সুভা চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে একদল দুর্বৃত্তরা একটি ড্রেজারে আগুন জ্বালিয়ে দেন।এ ঘটনায় তিন শ্রমিক গুরুতর আহত হন সে সময় একজন নিখোঁজ রয়েছেন। শুধু তাই নয় স্থানীয় ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলাম সুমনের ঘর বাড়িতে অতর্কিত হামলা করে ভাংচুর ও লুটপাট চালিয়েছেন ওই দুর্বৃত্তরা। সুমন ও তার পরিবারের সব সদস্য এ হামলায় আহত হন। তার প্রায় ৩০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। একজন জনপ্রতিনিধির নেতৃত্বে এমন ঘটনা অব্যাহত থাকায় অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে ইউনিয়নবাসী। সে হামলার ঘটনায় ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলাম সুমন বাদী হয়ে চেয়ারম্যান সোবহান সরকার সুভাকে প্রধান আসামি করে ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে ও আরও ১৫-২০ জন অজ্ঞাতনামা করে মতলব উত্তর থানায় মামলা দায়ের করেন।বিভিন্ন সময় কলাকান্দা ইউপি চেয়ারম্যান সোবহান সরকার সুভার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশে করেছে এলাকাবাসী সহ সচেতন মহল।
স্থানীয়দের দাবি, এভাবে নদীতে বালু কাটা হলে, এক সময় মেঘনা নদীতে বিলীন হয়ে যাবে আমাদের ঘরবাড়ি, তাই প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছি, অতি দ্রুত তাদেরকে আইনের আওতায় এনে এই বালু কাটা বন্ধ করার জোর দাবি জানাচ্ছি।
মতলব উত্তর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) বলেন, এখনো লিখিত অভিযোগ পাইনি, লিখিত অভিযোগ পেলে পরবর্তী আইনুক ব্যবস্হা গ্রহন করা হবে।
Array