খুবি প্রতিনিধি: খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র বিতর্ক বিষয়ক সংগঠন ‘নৈয়ায়িক’ আয়োজিত ১৮ তম এশিয়ান সংসদীয় আন্তঃডিসিপ্লিন বিতর্ক প্রতিযোগিতার ফাইনালে ইকোনমিকস ডিসিপ্লিনকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ ডিসিপ্লিন। ৯ই মার্চ শনিবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক লিয়াকত আলী মিলনায়তনে এ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ ডিসিপ্লিনের পক্ষে বিতর্কে অংশগ্রহণ করেন, চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মোঃ সোহেল আল সম্রাট, একই বর্ষের মহিদুর হাসান মঈন ও তৃতীয় বর্ষের রাফীদুল ইসলাম রাফিদ। উল্লেখ্য ফাইনালে সেরা বিতার্কিক নির্বাচিত হন রানারআপ দলের বক্তা মোঃ শানিল সরদার এবং প্রতিযোগিতার সেরা বিতার্কিক হন ফার্মেসি ডিসিপ্লিনের মোঃ রাফি তাহিয়াত ও পার্থ দত্ত।
বিজয়ী দলের বক্তা মোঃ সোহেল আল সম্রাট নিজের অনুভূতি জানাতে গিয়ে বলেন, “গতবারের ফাইনালে হেরে যাওয়ার গ্লানি দূর করতে দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ ছিলাম এবার চ্যাম্পিয়ন হবো-ই। যদিও ট্যাব সেগমেন্টের প্রথম রাউন্ড হেরে যাওয়ায় একটা বড় ধাক্কা লাগে, তবুও দৃঢ় বিশ্বাস ছিল পরবর্তী রাউন্ড গুলোতে নিজের সেরাটা দিয়ে তা পুষিয়ে নিবো। অবশেষে সতীর্থ মঈন, রাফিদ এবং নূরের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা সফল হই।বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের শেষ আন্ত: ডিসিপ্লিন বিতর্কে চ্যাম্পিয়ন হতে পারার আনন্দ ভাষায় প্রকাশ করা মত না। আমি কৃতজ্ঞতা জানাই আমার ডিসিপ্লিনের শ্রদ্ধেয় শিক্ষকদের যাদের সার্বিক সহযোগীতা ব্যাতিত এই অর্জন সম্ভব হতোনা।”
আয়োজক সূত্রে জানা যায়, বাংলা এশিয়ান সংসদীয় ধারার এ বিতর্ক প্রতিযোগিতা গত ৮ মার্চ শুরু হয়। এতে ২২ টি ডিসিপ্লিন অংশগ্রহণ করে।
ফাইনালে বিচারকের দায়িত্ব পালন করেন নৈয়ায়িকের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মোঃ মনিরুল ইসলাম, সমাজবিজ্ঞান ডিসিপ্লিনের অধ্যাপক ড. তুহিন রায়, বায়োটেকনোলজি এন্ড জেনেটিক ইন্জিনিয়ারিং ডিসিপ্লিনের সহকারী অধ্যাপক অমিত সরদার, আইন ডিসিপ্লিনের সহকারী অধ্যাপক পুনম চক্রবর্তী, ইতিহাস ও সভ্যতা ডিসিপ্লিনের প্রভাষক হাসান মাহমুদ সাকী, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় স্কুলের প্রধান শিক্ষক স্বর্ণকমল রায় ও প্রাক্তন কৃতী নৈয়ায়িকরা। ফাইনালে স্পিকার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন বিতার্কিক মনজ কুমার মজুমদার।
নৈয়ায়িক এর সভাপতি মনিরুজ্জামান রিয়াদ বলেন, “প্রতি বছরের ন্যায় এবারো নৈয়ায়িক আন্তঃডিসিপ্লিন বিতর্ক প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে। তবে এবারের আয়োজনে আমরা কিছুটা ভিন্নতা আনার চেষ্টা করেছি। বিতর্কের মাধ্যমে আমরা পরিবেশ রক্ষার মতো একটি বিষয়কেও শিক্ষার্থীদের মধ্যে তুলে ধরতে চেষ্টা করেছি। এই উদ্দেশ্যে প্রতিযোগিতা শুরুর আগে আরেকটি ক্যাম্পাস পরিচ্ছন্নতামূলক কর্মসূচী ও পরিবেশ রক্ষাকে উপজীব্য রেখে বিতর্ক প্রতিযোগিতার জন্য স্লোগান তৈরির প্রতিযোগিতারও আয়োজন করি। এবারের আন্তঃডিসিপ্লিন বিতর্ক প্রতিযোগিতার মাধ্যমে আমরা বোঝাতে চেয়েছি যে নৈয়ায়িক তার নিজের জায়গা থেকে বৈশ্বিক পরিস্থিতি সম্পর্কে যথেষ্ট সচেতন এবং সোচ্চার।”
Array