কক্সবাজার প্রতিনিধিঃ
কক্সবাজারে কোন অবস্থাতেই থামছেনা মানব পাচার। একের পর এক দুর্ঘটনা ঘটলে ও প্রশাসনের কড়া নিরাপত্তার মধ্যে টেকনাফের মানব পাচারকারীরা সিন্ডিকেট তৈরী করে সাগর পথে মালেয়শিয়া রোহিঙ্গা ও স্থানীয় লোকজন পাচার করে যাচ্ছে। এতে রোহিঙ্গা দালাল ও স্থানীয় দালালদের সমন্বয়ে টেকনাফে সক্রিয় উঠেছে মানব পাচারকারীরা চক্র।
গতকাল টেকনাফের শামলাপুর হয়ে সাগর পথে প্রায় দেড়শো জন পুরুষ, মহিলা ও শিশু নিয়ে মালয়েশিয়া যাওয়ার জন্য শামলাপুর ঘাট থেকে রওয়ানা দেন একটি ট্রলার। কিন্তু ট্রলার ছেড়ে যাওয়ার তিন ঘন্টা পর অতিরিক্ত লোক বোঝাই হওয়ার কারণে মাঝসাগরে এ ট্রলারটি ডুবে যায়। এঘটনায় সাঁতার কেটে ৮ নারী ও ৩৭ পুরুষ সহ ৪৫ জন তীড়ে আসতে সক্ষম হন।
বঙ্গোপসাগরে মালয়েশিয়াগামী ট্রলার ডুবির ঘটনায় ইতিমধ্যে সাগরে ভেসে আসা তিন নারীর মৃতদেহ উদ্ধার করেছে শামলাপুর তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ। প্রাথমিকভাবে সাগরে সাঁতার কেটে উদ্ধার হওয়ায ৪৫ ব্যক্তিদের মধ্যে ৮ জন৷ রোহিঙ্গা নারী, ৪ জন বাংলাদেশিদের মধ্য একজন নৌকার মাঝি তার বাড়ী টেকনাফের সাব্রাং নয়াপাড়া ও অপর দুজন মহেশখালীর ঘটিভাংগা, নতুন বাজার ও একজনের বাড়ী ঈদগাহ উপজেলার ভোমারিয়াঘোনা বলে জানা গেছে। উদ্ধার হওয়া রোহিঙ্গারা জানান,আটক হওয়া বাংলাদেশী ৪ জনই দালাল চক্রের সদস্য বলে জানান।
অপর দিকে মৃতরা হলেন, আনোয়ারের মেয়ে কিসমত আরা (১৭),মৃত করিমের মেয়ে তৈয়বা খাতুন (১৮), ক্যাম্প ২৬ এর রশিদ আহাম্মদের মেয়ে উম্মে সালমা (১৮)।
ট্রলারে কতজন ছিল তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। সাগরে আরও অনেকে ভাসছে বলে উদ্ধারকারীরা জানিয়েছে। এতে প্রাণহানির আশঙ্কা করা হচ্ছে। উদ্ধার হওয়া লোকজনের দাবি, উপকূল থেকে প্রায় সাড়ে ৩ কিলোমিটার দুরে ট্রলারটি ডুবে যায়। ট্রলারে শতাধিক মালয়েশিয়াগামী লোক ছিল।
জীবিত উদ্ধার হওয়া কয়েকজনের সঙ্গে আলাপকালে তারা জানান, দালাল চক্র শতাধিক নারী-পুরুষকে উখিয়ার কুতুপালং, লম্বাশিয়া, বালুখালী, মধুরছড়া ক্যাম্প থেকে গাড়িতে তুলে নিয়ে আসে টেকনাফের বাহারছড়া গ্রামে। তারপর ৪ অক্টোবর সোমবার রাত সাড়ে ৩ টার দিকে সাগর পথে রওয়ানা দেওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই ট্রলারটি ডুবে যায়৷
Array