বাকৃবি প্রতিনিধি: বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) পশুপালন অনুষদের এক ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির ঘটনায় অভিযুক্ত সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালকের বিচারের দাবিতে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করেছে ভুক্তভোগীর সহপাঠীরা।
রবিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) পশুপালন অনুষদের ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থীরা সকাল থেকে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালকের বিচারের দাবিতে আন্দোলন করেছে। এ সময় শিক্ষার্থীরা পশুপালন অনুষদ হতে একটি মিছিল বের করে প্রশাসনিক ভবন পর্যন্ত গিয়ে সেখানে অবস্থান নেয়। এ সময় শিক্ষার্থীরা প্রশাসনিক ভবনের গেট বন্ধ করে দেয়।
ভুক্তভোগীর সহপাঠীরা জানান, গতকাল (১০ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহজালাল পশুপুষ্টি মাঠ গবেষণাগারে ব্যবহারিক ক্লাস করতে যাচ্ছিলেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী। এসময় বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিনার) আবাসিক এলাকা-সংলগ্ন সড়ক যাওয়ার সময় পেছন থেকে ২০-২৫ বছর বয়সী সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালক তাঁর শরীরে হাত দেয় ও গাড়িতে তুলার চেষ্টা করে। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী চিৎকার দিলে ওই সিএনজিটি ঘুরিয়ে পালিয়ে যায়।
এ ঘটনার প্রেক্ষিতে শিক্ষার্থীরা ৬ দফা দাবি জানায়,
১. অবিলম্বে সিএনজি চালককে শনাক্ত করে বিচারের আওতায় আনতে হবে, ২.বহিরাগতদের চলাচল নিয়ন্ত্রণ করতে হবে, ৩.বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি স্থান সিসিটিভির আওতায় আনতে হবে এবং ক্যাম্পাসের প্রতিটি স্থানে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে, ৪. বিশ্ববিদ্যালয়ের আলাদা পোশাক ও রেজিষ্ট্রেশন নাম্বারসহ রিক্সা এবং অটো চলাচল সুনিশ্চিত করতে হবে, ৫.নিরাপত্তা শাখার সুষ্ঠু জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে, ৬.নিরাপত্তা কর্মীর সংখ্যা বাড়াতে হবে।
নিরাপত্তা কাউন্সিলের পরিচালক অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম জানান, ঘটনা জানার পর থেকেই অভিযুক্তকে খোঁজার চেষ্টা চালাচ্ছে নিরাপত্তা শাখা। আমরা আইনের সহয়তাও নিয়েছি। আশা করি খুব শীঘ্রই অভিযুক্তকে শাস্তির আওতায় আনা হবে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. আজহারুল ইসলাম বলেন, সিসিটিভি ফুটেজ থেকে সিএনজি রিকশার নম্বর সংগ্রহ করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সব নিরাপত্তা বিভাগে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। নিরাপত্তা শাখা থেকে কোতোয়ালী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরিও করা হয়েছে।
Array