নির্ধারিত সময় শেষে সবাই মারা যাবেন। মৃত্যুর পর মানুষকে আবার জীবিত করা হবে। এই জীবনের পর থেকে যে জীবন শুরু হবে তা শেষ হবে না কখনো। দুনিয়ার ভালো-মন্দ কাজের ওপর নিভর করে সুখ অথবা দুঃখের জীবন লাভ করবে মানুষ।
পরকালের জীবনে সুখ অথবা দুঃখের হিসাব নিকাশের জন্য মানুষকে একত্রিত করা হবে একটি নির্দিষ্ট জায়গায় (যার নাম হাশরের ময়দান), এ কথার উপর বিশ্বাস রাখা হচ্ছে ঈমানের অংশ। আল্লাহ সুবহানাহু তা’আলা বলেন,
أَلَا يَظُنُّ أُولَٰئِكَ أَنَّهُم مَّبْعُوثُونَ ٭ لِيَوْمٍ عَظِيمٍ ٭ يَوْمَ يَقُومُ النَّاسُ لِرَبِّ الْعَالَمِينَ
তারা কি চিন্তা করে না যে, পুনরুত্থিত হবে। সেই মহাদিবসে। যেদিন মানুষ দাঁড়াবে বিশ্ব প্রতিপালকের সামনে। (সূরা আল মুতাফফিফীন, (৮৩), আয়াত, ৪, ৫, ৬)
ইবনে ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, যেদিন সমস্ত মানুষ জগতসমূহের রবের সামনে দাঁড়াবে। তাদের মধ্যে কেউ কেউ তাদের কানের মধ্যভাগ পর্যন্ত ঘামে ডুবে থাকবে। (বুখারি, হাদিস, ৬৫৩১, মুসলিম, হাদিস, ২৮৬২)
কিয়ামতের দিন অবিশ্বাসীরা যে আফসোস করবে
কিয়ামতের দিন সূর্য মানুষের কতটা কাছে থাকবে?
অন্য হাদিসে এসেছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, কিয়ামতের দিন সূর্যকে সৃষ্টির এত কাছে আনা হবে যে, তাদের মধ্যে দুরত্ব হবে এক ‘মাইল’৷ বৰ্ণনাকারী বলেন, আমি জানি না এখানে মাইল বলে পরিচিত এক মাইল না সুরমাদানি (যা আরবিতে মাইল বলা হয় তা) বুঝানো হয়েছে।
এরপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘মানুষ তাদের স্বীয় আমল অনুযায়ী ঘামের মধ্যে নিমজ্জিত থাকবে। কারও ঘাম হবে গোড়ালি পর্যন্ত, কারও হবে হাঁটু পর্যন্ত। আবার কারও ঘাম হবে কোমর পর্যন্ত; কারও ঘাম মুখের লাগামের মত হবে। তারপর রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তার মুখের দিকে ইশারা করেন। (মুসলিম, হাদিস, ২৮৬৪)
Array