চট্টগ্রাম রেঞ্জ পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসাইনের সাময়িক বরখাস্তের আদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে। একই সঙ্গে তার সাময়িক বরখাস্তকাল কর্তব্যকাল হিসেবে গণ্য হবে বলেও জানানো হয়।
বৃহস্পতিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা শাখা থেকে এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়। রাষ্ট্রপ্রতির আদেশক্রমে এতে সই করেন জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান।
তার সাময়িক বরখাস্তকাল কর্তব্যকাল হিসেবে গণ্য হবে। জারীকৃত এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে বলেও প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়।
এর আগে ২০১৭ সালের ১৯ এপ্রিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছিল, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১১(গ) ধারা অনুযায়ী দায়ের করা পিটিশন মামলায় (০৪/২০১৭) সাখাওয়াত হোসেনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ইস্যু হওয়ার পর ১৩ ফেব্রুয়ারি আদালতে হাজির হয়ে তিনি জামিন লাভ করেন।
২০১৭ সালের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১১(গ) ধারা অনুযায়ী দায়ের করা পিটিশন মামলায় (০৪/২০১৭) সাখাওয়াত হোসেনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা ইস্যু হওয়ার পর গত ১৩ ফেব্রুয়ারি আদালতে হাজির হয়ে তিনি জামিন লাভ করেন। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, জামিনপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কারাগারে আটক বলে গণ্য হবেন বিধায় তাকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা সমীচীন। তাই জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অফিস মেমোরেন্ডাম অনুযায়ী পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেনকে চাকরি থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হলো। বরখাস্তকালীন সময়ে তিনি পুলিশ অধিদপ্তরে সংযুক্ত থাকবেন।
২০১৭ সালে স্ত্রীর দায়ের করা নারী নির্যাতন মামলার কারণে চট্টগ্রাম রেঞ্জের অতিরিক্ত এই ডিআইজিকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। নির্যাতন ও যৌতুকসহ বিভিন্ন অভিযোগে তার সাবেক স্ত্রী ফারজানা শারমিন অতিরিক্ত ডিআইজি মো. সাখাওয়াত হোসেনের বিরুদ্ধে চারটি মামলা দায়ের করেন। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১১(গ) ধারায় ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ একটি পিটিশন মামলা (নং-৪/২০১৭) দায়ের করেন।
এ ছাড়া, যৌতুক নিরোধ আইনের ৪ ধারায় মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-১৪ তে দায়ের করেন সিআর মামলা (নং-৭৫০/২০১৬)। মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে ৪৯৪ ও ৫০৬ দণ্ডবিধিতে আরেকটি সিআর মামলা (নং-২২/২০১৭) দায়ের করেন। জেলা ও দায়রা জজ আদালতেও একটি মামলা দায়ের করেন সাখাওয়াত হোসেনের স্ত্রী।
Array