আজ সচিবলয়ে এমপিও অসংগতি নিরসনে শিক্ষামন্ত্রীর দ্বারস্থ হয়েছেন বাংলাদেশ কারিগরি ও মাদ্রসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান পরিষদের নেতৃবৃন্দ। এমপিও নীতিমালা আলোকে কারিগরি ও সাধারন শিক্ষায় একই নীতি অবলম্বন করতে শিক্ষামন্ত্রীকে অনুরোধ জানানো হয়েছে বলে জানান তারা।
বাংলাদেশ কারিগরি ও মাদ্রসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান পরিষদের সভাপতি মো: ময়নূল ইসলাম বলেন, সম্প্রতি ঘোষিত কারিগরি ও মাদ্রসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিও করণে বেশ কিছু অসংগতি প্রতীয়মান হয়েছে। যার ফলে বেশকিছু কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভূক্তি থেকে বঞ্চিত হয়েছে। অসংগতিগুলো শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি মহোদয়েকে অবগতি ও সু-বিবেচনার জন্য উপস্থাপন করা হয়েছে।
তাদের উপস্থাপিত দাবিগুলো সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগে শিক্ষার্থী, পরিক্ষার্থী এবং পাশের ক্ষেত্রে অনিয়মিতদের যোগ করে এমপিও দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগে শিক্ষার্থী, পরিক্ষার্থী এবং পাশের ক্ষেত্রে অনিয়মিতদের বাদ দিয়ে এমপিও দেওয়া হয়েছে।
এছাড়াও মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগে শুধুমাত্র জেলা সদরের পৌরসভাগুলোকে পৌর এলাকা হিসেবে গন্য করে এমপিও বিবেচনা করা হয়েছে। তবে শুধু জেলা সদর নয় স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় কর্তৃক ঘোষিত উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের পৌরসভাগুলোকে পৌর এলাকা হিসেবে গন্য করে কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগে এমপিও বিবেচনা করা হয়েছে। স্বীকৃতি নবায়ণের বিষয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগে করোনা মহামারীর পরিস্থিতি বিবেচনা করে ২০১৯ সাল পর্যন্ত যে সকল প্রতিষ্ঠানের নবায়ণ ছিল সে সকল প্রতিষ্ঠানকে ইতিবাচক হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে।
অপরদিকে কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগে স্বীকৃতি নবায়ণের বিষয়ে ২০২১ সালের ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত যে সকল প্রতিষ্ঠানের নবায়ণ ছিল সে সকল প্রতিষ্ঠানকে ইতিবাচক হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে এবং ৩১ অক্টোবর ২০২১ তারিখের মধ্যে নবায়ণের অফিস আদেশ নিতে পারে নি এমন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে অযোগ্য বিবেচনা করা হয়েছে।
এছাড়াও বিশেষ বিবেচনায় মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের ১২৭টি প্রতিষ্ঠানকে এমপিওভূক্ত করা হয়েছে। অথচ বিশেষ বিবেচনায় কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগে মাত্র ১০টি প্রতিষ্ঠানকে এমপিওভূক্ত করা হয়েছে। সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী কারিগরি শিক্ষায় অগ্রাধিকার পাওয়ার কথা থাকলেও ২০০’র অধিক উপজেলায় কোন কারিগরি প্রতিষ্ঠানই এমপিওভূক্ত হয় নি।
এছাড়া, উভয় বিভাগেই ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধে নীতিমালায় বাধ্য-বাধকতা না থাকলেও কর পরিশোধ না থাকা প্রতিষ্ঠানগুলোকে অযোগ্য বলে বিবেচিনা করার বিষয়টিও মন্ত্রীকে অবগত করা হয়।
এসকল অসংগতি দূরীকরণে শিক্ষামন্ত্রীর সদয় দৃষ্টি আকর্ষন করেন বাংলাদেশ কারিগরি ও মাদ্রসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান পরিষদের নেতৃবৃন্দ।
Array