নিজস্ব প্রতিবেদক: দুর্নীতি দমন কমিশন, দেশে দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য একমাত্র সরকারি প্রতিষ্ঠান। দুদকের একটি গোপনসুত্রে জানা গেছে, যে গত তিন মাসে একটিও মামলার ফাইল নিষ্পত্তি করা হয়নি, যা কর্মকর্তা এবং দুর্নীতিবিরোধী আইনজীবীদের গভীরভাবে উদ্বিগ্ন করে রেখেছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে দূর্নীতি দমন কমিশনের এক কর্মকর্তা জানান, দুদকের কমিশনার আছিয়া খাতুন যোগদানের পর একটি ফাইলও নিশ্পত্তি হয় নি। বিভিন্নভাবে প্রত্যেকটি ফাইলে কোয়ারি দিয়ে রেখেছেন। এতে দুদকের পরিচালক ও উপ-পরিচালকদের মধ্যে অনেকেই বিরক্তি প্রকাশ করেছেন।
দুর্নীতি দমন কমিশন, যেটি সরকারের জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, বিভিন্ন স্তরে দুর্নীতির মামলা তদন্ত ও বিচারের দায়িত্ব পালন করে। যাইহোক, মামলা নিষ্পত্তিতে সাম্প্রতিক স্থবিরতা কমিশনের দক্ষতা এবং তার আদেশ পূরণের ক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।
সমালোচকরা কমিশনের কার্যপ্রবাহের মধ্যে পদ্ধতিগত বাধাগুলির দিকেও ইঙ্গিত করেছেন, মামলাগুলির অগ্রগতি কমিয়ে দিচ্ছে। দুর্নীতির মামলা মোকাবেলায় বিলম্বের বিষয়ে ক্রমবর্ধমান উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। কমিশনের কর্মকর্তারা পরিস্থিতি নিয়ে তাদের হতাশা প্রকাশ করেছেন এবং মামলার তদন্ত ও বিচার ত্বরান্বিত করার জন্য জরুরি পদক্ষেপের প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়েছেন।
বর্তমান পরিস্থিতিতে সরকারের অভ্যন্তরে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বজায় রাখতে দুর্নীতি দমন কমিশনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা এবং বর্তমানে যে চ্যালেঞ্জগুলোর মুখোমুখি হচ্ছে তা মোকাবেলা করার জন্য দ্রুত পদক্ষেপের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেয়া উচিৎ বলে মনে করছেন দূর্নীতি দমন কমিশন সাবেক এক উর্ধতন কর্মকর্তা।
Array