জামালপুর প্রতিনিধি: ‘বাংলার লোক সংস্কৃতি বাঙালির অফুরান প্রাণশক্তি’ এ স্লোগানকে ধারণ করে জামালপুরে লোক সংস্কৃতি উৎসব ও লোকজ মেলা শুরু হয়েছে। প্রথম বারের মতো তিনদিন ব্যাপী এ মেলার আয়োজন করা হয়। মেলা চলবে ২১, ২২ ও ২৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।
বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় জামালপুর গান্ধী আশ্রম ও মুক্তিসংগ্রাম জাদুঘরে উদ্যোগে মুক্তির সংগ্রাম প্রাঙ্গনে মেলার উদ্বোধন করেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ।
লোকজ সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের নানা ক্ষেত্র তুলে ধরতে এ উৎসবের আয়োজন করা হয়। এ উপলক্ষে গ্রামীণ আবহে সেজেছে মুক্তির সংগ্রাম প্রাঙ্গণে চারপাশ।
মেলায় বাংলার পোড়া মাটি, বাংলার লোক ঐতিহ্য, নকশী কাঁথা, কাপড়ের পুতুল, লোকজ খেলনা ও বাদ্যযন্ত্র, তামা-কাঁসা–পিতলের কারুশিল্প, বাঁশের কারুশিল্প, বেতের কারুশিল্প, জেলেদের জাল বোনা, নকশীকাঁথা সেলাইসহ বিভিন্ন কারুশিল্পীর প্রায় ৫০টি স্টল রয়েছে।
লোকজ উৎসবে বাউল গান, পালাগান, যাত্রাপালা, লালনগীতি, ভাওয়াইয়া, ভাটিয়ালি, জারি সারি, হাছন রাজার গান, গ্রামীণ খেলা, লাঠি খেলা, ঘুড়ি ওড়ানো, ঘাটু গান, পিঠা উৎসব হবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেন, ‘আইছে জামাই সাহেব হইয়া, বইছে মুখে রুমাল দিয়া, ঘোমটা খোলার আগে তোমায় করিগো সাবধান।’ এটা কিন্তু অসাধারণ একটি গান এবং এটা আমাদের লোকজ শিল্পী জারি সারি, বাউল ও পালা গান, একজন গাইবে আরেক জন উত্তর দেবে। এটি খুবই জমজমাট ছিল, শহরেও হয়তো এক সময়, এখন আর শহর তো দূরের কথা গ্রামেও হয় না, এখন হলো সব ফেসবুক আর ইউটিউব, সব হারিয়েছে।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এখনো যেন প্রতিবছর এই উৎসব হয়। সেই জন্য আমরা পৃষ্ঠপোষকতা হিসেবে থাকবো। আমাদের কিছু ক্যালেন্ডারের প্রতি বছরে কিছু প্রোগ্রাম থাকে সেগুলো আমাকে করতেই হয়। এর মধ্যে আমরা গান্ধী আশ্রম ও মুক্তিসংগ্রাম জাদুঘরে একটি প্রোগ্রাম রাখবো তিন দিনব্যাপী প্রোগ্রাম হবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আরো বক্তব্য দেন, জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আতিকুর রহমান ছানা, সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজের অধ্যক্ষ মো. হারুন অর রশীদ, জামালপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোক্তার হোসেন, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মুনমুন জাহান লিজা, মেলান্দহ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম মিঞা।
Array