শরীয়তপুর প্রতিনিধি: শরীয়তপুরের সদর হাসপাতালে পাশে জমি সংক্রান্ত ঝামেলা নিয়ে ঘরের দেয়াল ভাংচুর করে ৭টি দোকান ৮ দিন যাবৎ বন্ধ করে রেখেছিলেন সদর উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হোসেন সরদার। পরে পুলিশ এসে দোকান খুলে দেন ব্যাবসায়িদের।
২৪ আগস্ট থেকে ৩১ আগস্ট বৃহস্পতিবার পর্যন্ত এই দেয়াল ভাংচুর করে দোকান বন্ধ রাখা হয়।
জমির মালিক মামুন খান জানান, তুলাসার মৌজায় বিআরএস ২৬১০ নং দাগে ৫১ শতাংশ জমির মালিক ছিলেন তার পিতা মৃত সামাদ খান।২০১৫ সালে তাকে ৩১ শতাংশ লিখে দেন এবং তার তিন বোনকে ২০ শতাং লিখে দেন। তার এক বোন রুমা খানজুরি ২০১৯ সালে ৩ শতাংশ জমি মো: আমির আলির কাছে রেজিষ্ট্রারী বায়না করনে। কিন্তু সেই রেজিস্টি বায়নায় উল্লেখ ছিলে ৩ মাসের মধ্যে সম্পর্ন টাকা পরিষদ করে জমি সাব কবালা দলিল করে নিতে হবে। ৩ মাস অতিক্রম হলে রেজিষ্ট্রিরি বায়না বায়না বাতিল বলে গণ্য হবে। কিন্তু সেই সময় ৪ বছর পার হয়ে গেছে এবং তারা যেই ৩ শতাংশ জমি বায়না করে সেই জমি আমার জমির দক্ষিণ পাশে। কিন্তু তারা জমি না কিনেই ড্রেজার দিয়ে জমি ভরাট করার জন্য বাধ দেন ২ বছর আগে।
এর পর গত ২১ আগস্ট এসে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হোসেন সরদারের নেতৃত্বে সে নিজে থেকে জামাল সরদার, আমির আলি সরদার,বিল্লাল পাহার,সিরাজ সরদার তার নিজের জমির উপরে নির্মান করা মার্কেটের ৭ লক্ষ টাকার দেয়াল ভেঙে ফেলে এবং রাস্তার পাশে থাকা ৭ টি দোকান ভাড়াটিয়েদের ভয়ভীতি দেখিয়ে দোকান বন্ধ করে দেয় ও খুলতে নিষেধ করে দেয়। দোকানে থাকা বিদ্যুৎতের মিটার খুলে ফেলেন।
মামুন খান বলেন, আমর বাচ্চা অসুস্থ তাই আমি তাদের নিয়ে ঢাকায় ছিলাম। সেই সময় সুযোগ বুজে তারা আমার মার্কেটের ভাড়াটিয়াদের বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখিয়ে বন্ধ করে দেয় এবং দোকান খুলতে নিষেধ করে দেয়। পরর্বতীতে আমি বাড়িতে আসলে থানায় অভিযোগ করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে দোকান খুলে দেয়।
হোটেল মালিক মো: শাহজাহান বলেন, আমার হোটেলে ভাত,পুরি,সিঙারা বিক্রি করি এখানে সব কাচা মাল রয়েছে।
যুবলীগের সভাপতি হোসেন সরদার,কানা জামাল সহ আরো ১০ থেকে ১৫ জন এসে দোকান বন্ধ করতে বলে। তখন আমি বলি আমার দোকানে সব কাচামালের জিনিস রয়েছে এখন বন্ধ করে দিলে সব নষ্ট হয়ে যাবে। কিন্তু তারা কোন কথা না শুনে জোর করে দোকান বন্ধ করে দেন। এই ৭ দিন দোকান বন্ধ থাকায় পরিবার নিয়ে চলতে কষ্ট হয়ে গেছে।
এবিষয়ে সদর উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হোসেন সরদারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা ৬ জন পার্টনার মিলে মামুন খানের বোনদের থেকে ১০ শতাংশ জমি ২০১৯ সালে বায়না করি। রেজিস্ট্রি বায়নার কোন মেয়াদ নাই,যতই লেখা থাকুক জীবনেও এর মেয়াদ যাবে না। ৭দিন কেনো বন্ধ রাখা হলো তখন বলেন ৭ দিন বন্ধ রাখি নাই ১ দিন বন্ধ রাখা হয়েছে এর আগে তারা অন্য কোন কারনে দোকান বন্ধ রাখছে তা আমি জানিনা।আর আমি কোন দোকানপাট ও কোন দেয়াল ভাংচুর করি নাই। আদালত এই বিষয় সমাধান দিতে পারে না চাইলেই স্থানীয় ভাই ব্রাদার থাকলেই সমাধান দিওয়া সম্ভব ।
পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আক্তার হোসেন বলেন,জেলা পুলিশ সুপার আমাকে ঘটনার বিষয় জানায়, খবর পেয়ে ঘটনা স্থানে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ গিয়ে ভাংচুর বন্ধ করে দেয় এবং দোকানপাট খুলে দেওয়া হয়।
Array