নিজেস্ব প্রতিবেদকঃ
রাজধানীতে অবস্থিত কোনো বারই সময় ও নিয়ম মানছে না। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ও স্থানীয় থানা পুলিশের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে বারগুলোতে চলছে অনিয়মের মহোৎসব। হোটেল রিজেন্সি, রাজধানীর অন্যতম পাঁচ তারকা হোটেল। দিন গড়াতেই এর ১৩তম তলায় অবস্থিত ক্লাব-থার্টিনে যেন নেমে আসে স্বর্গীয় আবেশ। রাত যত গভীর হয় মাদকসেবীদের আনাগোনা তত বাড়তে থাকে। চলে ভোররাত পর্যন্ত। সেখানে কারও পারমিট আছে কি না, তা দেখা হয় না। মানা হয় না সময়ও।
শুধু এই পাঁচ তারকা হোটেল নয়, রাজধানীতে অবস্থিত কোনো বারই সময় ও নিয়ম মানছে না। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, স্থানীয় থানা পুলিশের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে বারগুলোতে চলছে অনিয়মের মহোৎসব। থোড়াই কেয়ার হচ্ছে অ্যালকোহল নিয়ন্ত্রণ বিধিমালার।
গত ১৮ জানুয়ারি ‘অ্যালকোহল নিয়ন্ত্রণ বিধিমালা, ২০২২’ জারি করে সরকার। সেখানে অ্যালকোহল বা মদ উৎপাদন, কেনা-বেচা, পান করা, পরিবহন, আমদানি-রপ্তানির ক্ষেত্রে নিয়মনীতি স্পষ্ট করা হয়েছে।
রাত ৩টার পর হোটেল রিজেন্সির ‘ক্লাব থার্টিন’ বন্ধ হলেও খুলে যায় অন্য জগৎ। ষষ্ঠ তলায় চালু হয় সিসা বার। যেখানে আড্ডায় বসেন ধনাঢ্য পরিবারের তরুণ-যুবকরা, বাদ যান না বয়স্করাও। নতুন অ্যালকোহল নিয়ন্ত্রণ বিধিমালা অনুযায়ী, ২১ বছরের নিচে কেউ মদ পানের পারমিট পাবেন না। বিধিমালায় অ্যালকোহল জাতীয় মাদকদ্রব্য কোথায় বেচা-কেনা হবে, কোথায় বসে মদ পান করা যাবে, পরিবহন করা যাবে কি না— এসব বিষয় স্পষ্ট করা হয়েছে। যা এতদিন অলিখিতভাবে চলছিল।
শুধু হোটেল রিজেন্সি নয়, রাজধানীতে অবস্থিত কোনো বারই সময় ও নিয়ম মানছে না। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ও স্থানীয় থানা পুলিশের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে বারগুলোতে চলছে অনিয়মের মহোৎসব। থোড়াই কেয়ার হচ্ছে অ্যালকোহল নিয়ন্ত্রণ বিধিমালার বিধিমালা অনুযায়ী, অ্যালকোহল আমদানি, রপ্তানি, উৎপাদন, প্রক্রিয়াজাতকরণ, সরবরাহ, বিপণন, ক্রয়-বিক্রয় ও সংরক্ষণের জন্য পারমিট, লাইসেন্স বা পাস গ্রহণ করতে হবে। বিশেষ করে মদ বা অ্যালকোহল জাতীয় পানীয় পানের জন্য পারমিট আর পরিবহনের জন্য পাস বাধ্যতামূলক।
এ বিষয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের প্রধান রাসায়নিক পরীক্ষক ড. দুলাল কৃষ্ণ সাহা বলেন, বিধিমালা না থাকায় অনেক সময় দুর্ঘটনা ঘটে। পারফিউম স্যানিটাইজার তৈরিতে কিংবা শিল্পে ব্যবহৃত অ্যালকোহল খেয়েও মারা যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। দেশে ‘মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৮’ থাকলেও কোনো বিধিমালা ছিল না। মূলত, ১৮৫৭ সালের ম্যানুয়াল বিধিমালা হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছিল।
আজকালের বার্তা /এফ.জে
Array