ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধিঃ
মানুষের মৌলিক চাহিদার অন্যতম ও গুরুত্বপূর্ণ ১টি হচ্ছে স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করন। সরকারও মানুষের দৌড় গোড়ায় স্বাস্থ্য সেবা পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে নানামুখি পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। ইউনিয়ন পর্যায়ের উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্র, ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্র ও কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন করেছে।
অন্যান্য উপজেলার ন্যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলায় ২টি উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্র এবং ৫টি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্র। ১৫টি কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন করেছে। নিয়ম অনুসারে ২টি উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিটিতে ১জন ডাক্তার, ১জন সেকমো, একজন ফার্মাসিষ্ট, ১জন পিয়ন ও ১জন আয়া, ৫টি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিটিতে ১জন ডাক্তার, ১জন ফার্মাসিষ্ট ও ১ জন পিয়ন থাকার কথা রয়েছে। এছাড়া কমিউনিটি ক্লিনিক গুলোতে একজন করে ক্লিনিক হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার থাকার কথা রয়েছে ।কিন্তু সরেজমিনে গিয়ে ডাক্তার এবং স্বাস্থ্যকর্মী কাউকেই পাওয়া যায়নি।
আশুগঞ্জ উপজেলার এই সবকটি সাস্থ্য কেন্দ্র গুলোতে ৪/৫ বছর যাবত কোন ডাক্তার নেই। অন্যান্য পদে দু’একজন থাকলেও তাদেরকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এনে কাজ করাচ্ছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা। এতে করে চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে গ্রামীণ জনপদের সাধারণ মানুষ। ওই সকল স্বাস্থ্য কেন্দ্রে প্রতিনিয়ত চিকিৎসা সেবা নিতে গিয়ে ফেরত আসছে অসুস্থ্য গ্রামের সাধারন লোকজন।
সরেজমিনে গেলে স্থানীয় বাসিন্দারা জানান এক সময় অসুস্থ্য হয়ে এ কেন্দ্রে ডাক্তার দেখিয়েছি, এখান থেকে কিছু ঔষুধও আমাদের দিয়েছিল। কিন্তু আজ ক’বছর যাবত এখানে কোন ডাক্তার নেই। হাসপাতালটিতেও তালা ঝুলানো রয়েছে।খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০১০ সালে জাতীয় পর্যায়ে এডহক হিসেবে (ননক্যাডার) ডাক্তার নিয়োগ দেয়া হলেও আশুগঞ্জ উপজেলায় কোন ডাক্তার বা স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগ দেয়া হয়নি। পূর্বের নিয়োগকৃত ডাক্তাররা অন্তত: সপ্তাহে ৩ দিন বিভিন্ন গ্রাম থেকে চিকিৎসা সেবা নিতে আসা রোগীদের চিকিৎসা প্রদান করতেন, কিন্তু একে একে সবগুলো স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ডাক্তররা অন্যত্র বদলী হয়ে চলে যায়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আশুগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা জানান আমাদের লোকবল না থাকার ফলে এ ধরনের সমস্যা হচ্ছে। আশা করি মাস দুয়েকের মধ্যে এই সমস্যা থাকবেনা।
ডাক্তার সংকটের বিষয়ে জানতে চাইলে আশুগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা জানান সারাদেশেই ডাক্তার সংকট রয়েছে। সে ক্ষেত্রে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স গুলোও ডাক্তার সংকটে ভুগছে। আর কমিউনিটি ক্লিনিক গুলোতে আমাদের স্বাস্থ্যকর্মী রয়েছে। তারা যদি ঠিক মতো দায়িত্ব পালন না করে লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যাবস্থা নেয়া হবে।
Array