জোবায়ের হোসেন রিহান, ফেনী প্রতিনিধি: ফেনী পৌরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের এফ.রহমান.এসি মার্কেট সংলগ্ন পুরাতন পুলিশ কোয়ার্টারস্থ রাহিম টাওয়ারের নিচ তলা থেকে ১৫ জন খদ্দেরসহ ৬জন পতিতাকে আটক করেছে ফেনী মডেল থানা পুলিশ। গত সোমবার রাত আনুমানিক রাত ১১টা থেকে ঘন্টাব্যাপী ফেনী মডেল থানা পুলিশ ও ফেনী জেলা গোয়েন্দা পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে।
আটককৃতরা হলো মাদারীপুর জেলার মৃত. আলম মাতবরের ছেলে আলী মাতবর (৩৫), ফেনী জেলার সোনাগাজী উপজেলার নবাবপুর গ্রামের করিম উল্যাহের ছেলে গিয়াস উদ্দিন (২৬), আবু আহম্মদের ছেলে মো. হানিফ (৩৭), ফেনী সদর উপজেলার ছনুয়া ইউনিয়নের বাবুল মিয়ার ছেলে অমিত হাসান (২৩), কবির আহম্মদের ছেলে আব্দুল্লাহ আল রিফাত (২২), ছাগলনাইয়া উপজেলার রাধানগর ইউনিয়নের মো. শাহজাহান মিয়ার পুত্র মো. শাহাদাত হোসেন (২১), সদর উপজেলার লেমুয়া ইউনিয়নের মো. সেলিমের ছেলে মিনহাজুল ইসলাম (২১), বাবুল উদ্দিনের ছেলে ইয়ছিন হোসেন হৃদয় (১৯), দাগনভূঁইয়া উপজেলার চন্দ্রপুর ইউনিয়নের লোকমান মিয়ার ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান (২২), ছাগলনাইয়া উপজেলার মধুগ্রামের আব্দুল হাকিমের ছেলে মনসুর আলম (২২), খুলনা জেলার বাগেরহাটের মুজিবর শেখের ছেলে সেকান্দর মোহাম্মদ (৪০), নোয়াখালী জেলার সেনবাগ উপজেলার শাহ আলমের ছেলে আবুল কালাম (২৫), অজিউল্ল্যাহর ছেলে আব্দুল্লাহ আল মামুন (২৯), লক্ষীপুর জেলার কমল নগরের রুহুল আমিনের ছেলে মোহাম্মদ সুমন (৪০) ও কিশোরগঞ্জ জেলার মিঠামাইন উপজেলার আক্কাস গাজীর ছেলে মোশারফ গাজী (৩০)।
এছাড়া আটককৃত পতিতারা হলো ঢাকা জেলার দক্ষিণ সায়েদাবাদ সূত্রাপুরের মৃত. নাসির উদ্দিনের মেয়ে সোনালী (২৮), চট্টগ্রাম জেলার মিরসরাই উপজেলার মুগরা গ্রামের নুরুল আনোয়ারের মেয়ে জান্নাতুল রায়হান নদী (২১), রাউজানের মৃত. পিয়ালের মেয়ে আছমা আক্তার (১৯), নোয়াখালী জেলার সুবর্ণচরের মো.আলাউদ্দিনের মেয়ে শিলা বেগম (২০), চট্টগ্রাম জেলার কোতোয়ালী থানার মজিবুলের মেয়ে শারমিন আক্তার (২০) ও বান্দরবন জেলার হলুদিয়ার মৃত. খবির আহম্মদের মেয়ে সুরাইয়া আক্তার (২৮)।
আটককৃতদের মধ্যে সিএনজি অটোরিকশা চালক, শ্রমিক, চাকুরীজীবী, স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থী আছেন বলে জানান একাধিক সূত্র। এছাড়াও রাহিম টাওয়ারের মালিকের মুঠোফোন বন্ধ ও সে পলাতক রয়েছে এবং তাকে গ্রেপ্তারের জন্য চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।
ফেনী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শহিদুল ইসলাম চৌধুরী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। আটককৃত খদ্দেরদের বিরুদ্ধে মানব পাচার আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। শহরে অবস্থিত যেসমস্ত আবাসিক হোটেল ও বাসাবাড়িতে অসামাজিক কার্যকলাপ পরিচালিত হচ্ছে সেই সমস্ত জায়গায় এই অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানান।
Array