শরীয়তপুর প্রতিনিধি: বিআরটিসি প্রকল্প পরিচালক (অর্থ) প্রকৌশলী মনিরুজ্জামান, তাঁর ছোট ভাই জাকির মাঝি ও ভাগিনা মাসুদ আহম্মেদের প্রতারণা ও বিআরটিসি ভিত্তিহীন মিথ্যা চাঁদাবাজির অভিযোগের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ডামুড্ডা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এনামুল হক ইমরান।
রোববার (৯ জুলাই) দুপুর আড়াইটার দিকে ডামুড্ডা উপজেলা প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে এনামুল হক ইমরান বলেন,
পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর যাত্রীদের ঢাকায় নির্ভিঘ্নে যাতায়াতের জন্য স্থানীয় এমপি এবং সড়ক ও যোগাযোগ মন্ত্রী’র ডিও লেটারের মাধ্যমে গত বছরের ২১ জুলাই শরীয়তপুরের ডামুড্ডা উপজেলায় বিআরটিসি এসি বাস চালু করি।
স্থানীয় বড় ভাই নাজমুল হক, ঢাকার শুভ ও আমিসহ চারজন মিলে তা পরিচালনা করি।
আমি বিআরটিসি মতিঝিল ডিপোতে দুই লাখ জামানত বাবদ জমা দেই। এছাড়া ঢাকা অফিস, কাউন্টার খরচ ও অন্যান্য খরচ বাবদ দুই লাখ টাকা দেই। প্রকৌশলী মনিরুজ্জামানের ভাগিনা দুর্ণীতিতে চাকরিচ্যুত মাসুদ আহম্মেদ হিসাব পরিচালনার জন্য বিআরটিসি ঢাকা-ডামুড্ডা রুটের ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্ব নেয়। তিনি প্রতিমাসে ডিপো খরচ বাবদ ৮০ হাজার করে টাকা নেয়। এছাড়া মাসুদসহ প্রকৌশলী মনিরুজ্জামান ও জাকির মাঝি মিলে প্রতিমাসে বদলি বাস বাবদ ৫০ হাজার করে টাকা নেয়। ১২ মাসে এই রুট থেকে মোট ১৫ লাখ ৬০ হাজার টাকা নিয়েছে তারা । আমি এর প্রতিবাদ করলে ও হিসাব চাইলে তারা আমাকে হিসাব না দিয়ে আমার বিরুদ্ধে বিআরটিসি ঢাকা জোয়ারসাহারা বাস ডিপো ম্যানেজারের মাধ্যমে ডামুড্যা থানায় আমার বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ করেন। অভিযোগে বলা হয়, বাসের সুপারভাইজারের কাছে থেকে আমি ১৫ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়েছি এবং প্রতি যাত্রী থেকে ৩০ টাকা করে চাঁদা নিচ্ছি। কাউন্টার স্টাফদের বেতন দিচ্ছে না বিআরটিসি কর্তৃপক্ষ, তাই স্টাফরা বেতন কেটে নিচ্ছে। সেখানে আমি চাদাবাজ কি করে হলাম? আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করেছে তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও মিথ্যা। আমি এর প্রতিবাদ জানাই এবং বিচার দাবি করেছি। ইতোমধ্যে বিচার পেতে আমি তাদের বিরুদ্ধে ডামুড্ডা থানায় একটি অভিযোগ করি।
এদিকে, বিআরটিসি জোয়ারসাহারা বাস ডিপো
ম্যানেজার (অপারেশন) অভিযোগকারী প্রকৌশলী মো. মাসুদ তালুকদার বলেন, গত ১৯ মে বিআরটিসি ঢাকা মেট্রো-ব ১৫-৫৯৪৬ নম্বর বাসের সুপারভাইজারের কাছে থেকে ১৫ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায় এবং চালককে হুমকি দেয় ইমরান ও তাঁর কর্মচারী সায়েম, এনায়েত। শুধু তাই নয় গত ১৫ জুন থেকে বিআরটিসি ডামুড্ডা বাসস্ট্যান্ড কাউন্টারের প্রতি যাত্রী থেকে ৩০ টাকা করে চাঁদা নিচ্ছে তারা। আসলে ইমরান বিআরটিসি ইজারাদার হিসেবে পরিচয় দিলেও তিনি বিআরটিসি’র কোন ইজারাদার নন। তাই আমি ডামুড্যা থানায় একটি অভিযোগ করেছি।
উল্লেখ, গত ১৫ জুন উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এনামুল হক ইমরান ও তার কর্মচারীরা বিআরটিসি’র ডামুড্ডা বাসস্ট্যান্ড কাউন্টার থেকে সরকারি রাজস্ব ছিনিয়ে নিয়েছে ডামুড্ডা থানায় এমন একটি অভিযোগ করে বিআরটিসি কর্তৃপক্ষ।
এদিকে গত ২৭ জুলাই বিআরটিসি প্রকল্প পরিচালক (অর্থ) প্রকৌশলী মনিরুজ্জামান, তার ভাই জাকির মাঝি ও ভাগিনা মাসুদ আহম্মেদের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ এনে ডামুড্ডা থানায় পাল্টা অভিযোগ করেন ছাত্রলীগ নেতা ইমরান।
Array