শরীয়তপুর প্রতিনিধি: শরীয়তপুরে নিজের মাকে কুপিয়ে হত্যা করেছেন এক ছেলে। এ ঘটনায় ছেলে মেহেদী হাসান জাহিদকে আটক করেছে পুলিশ।বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান।
বুধবার (২১জুন) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার ঘড়িসার ইউনিয়নের ঘড়িসার বাজার এলাকার কুশিয়া গ্রামের মাঝি বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কুশিয়া গ্রামের হাজী জালাল উদ্দিন মার্কেটের মালিক সেলিম মাঝি তার স্ত্রী ও তিন সন্তান নিয়ে মার্কেটটির তৃতীয় তলায় থাকতেন। সেলিম মাঝি তার স্ত্রী নারগিস বেগম ও বড় ছেলে জাহিদকে বাড়িতে রেখে দোকানে যান। সন্ধ্যায় বাড়িতে এসে ঘরের দরজা বন্ধ পান তিনি। পরে তিনি দরজা ভেঙে দেখতে পান স্ত্রী নারগিসের নিথর দেহ রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। মায়ের পাশে বটি হাতে দাঁড়ানো ছেলে জাহিদ। এরপর সেলিম ও শাহীন মাঝির চিৎকারে স্থানীয়রা এসে নারগিস বেগমকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে জাহিদকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
নিহত নারগিস বেগমের স্বামী ও জাহিদের বাবা সেলিম মাঝি বলেন, সন্ধ্যায় আমার ভাই শাহীন মাঝিকে নিয়ে বাড়িতে এসে দেখি দরজা বন্ধ। ডাকাডাকি করলেও দরজা না খোলাতে দরজা ভেঙে দেখি নারগিসের রক্তাক্ত দেহ মেঝেতে পড়ে আছে। আমার কুলাঙ্গার ছেলে জাহিদ তার মাকে হত্যা করছে। হাসপাতালে নিয়েও আমার ঘরের লক্ষ্মীকে বাঁচাতে পারিনি। আমার সব শেষ হয়ে গেল। আমি জাহিদের ফাঁসি চাই।
ঘড়িসার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রব খান বলেছেন, সেলিম মাঝির ছেলে জাহিদ তার মা নারগিস বেগমকে বটি দিয়ে কুপিয়ে জখম করে হত্যা করেছেন। পুলিশ জাহিদকে আটক করেছে।
নড়িয়া থানার ওসি হাফিজুর রহমান বলেন, স্থানীয়রা অভিযুক্ত ওই ছেলেকে আটক করে পুলিশকে খবর দিয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত জাহিদকে আটক করা হয়েছে। সেলিম মাঝি জানিয়েছেন যে জাহিদ তার মাকে হত্যা করেছে। নারগিসের মরদেহ শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হবে।
Array