• আজকের পত্রিকা
  • ই-পেপার
  • আর্কাইভ
  • কনভার্টার
  • অ্যাপস
  • বাজেটে সংখ্যালঘুদের প্রতি বৈষম্য নিরসনসহ ৬ দফা দাবি 

     বার্তা কক্ষ 
    20th Jun 2023 7:48 pm  |  অনলাইন সংস্করণ

    নতুন অর্থবছরের বাজেটে সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর প্রতি ধর্ম মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দে সীমাহীন অবহেলা ও বৈষম্যের প্রতিবাদসহ ৭ দফা দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ।

    মঙ্গলবার (২০ জুন) প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানায় সংগঠনটি।

    লিখিত বক্তব্যে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রাণা দাশগুপ্ত বলেন, ধর্ম মন্ত্রণালয়ের পরিচালন ব্যয় বরাদ্দ এবং উন্নয়ন খাতে মোট বরাদ্দ রয়েছে ২১৭৬ দশমিক ১৫ কোটি টাকা। এর মধ্যে উন্নয়ন খাতে ধর্মীয় সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর জন্যে বরাদ্দ মাত্র ৬ দশমিক ৪ শতাংশ। জনসংখ্যার আনুপাতিক হারের সাথে যা একেবারেই সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।

    তিনি বলেন, এদেশের ধর্মীয় সংখ্যাগুরু সম্প্রদায়ের উন্নয়ন ও কল্যাণে গঠিত প্রতি বছরের বাজেট থেকে ইসলামিক ফাউন্ডেশন পরিচালিত হয়ে থাকে। আর হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টসমূহ চলে আমানতের সুদের টাকায়। হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের উদাহরণ টেনে বলা যায়, এ প্রতিষ্ঠানের জন্যে মোট স্থায়ী আমানতের ১০০ কোটি টাকা থেকে প্রতি বছরে ব্যাংকে জমাকৃত অর্থ থেকে ৫ কোটি থেকে সাড়ে ৫ কোটি টাকা সুদ হিসেবে প্রতিষ্ঠানটি পেয়ে থাকে। উক্ত টাকা থেকে বছরে প্রায় ১.৫ কোটি অফিস খরচ ও বাদবাকি ৪ কোটি টাকা দুস্থদের, মন্দিরে অনুদান ও ক্ষুদ্র পরিসরে বিভিন্ন তীর্থ স্থানে তীর্থ পরিক্রমার জন্য প্রতিষ্ঠানটি ব্যয় করে থাকে। হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টে বর্তমানে জনবল রয়েছে ৯ জন, তার মধ্যে ২ জন মুসলিম সম্প্রদায়ের। মন্দিরভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রমে জেলাসমূহে নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও কর্মচারীর প্রায় ৪০ শতাংশ ধর্মীয় সংখ্যাগুরু সম্প্রদায়ের ধর্মীয় ও আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটে পুরোহিত ও সেবায়েত দক্ষতা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্পটি হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনায় রয়েছে। এই প্রকল্পের জনবলের মধ্যেও ১০ শতাংশের বেশি ইসলাম ধর্মাবলম্বী।

    তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে হিন্দু ও বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের প্রাতিষ্ঠানিক ধর্মীয় শিক্ষাব্যবস্থার একমাত্র সরকার কর্তৃক স্বীকৃত প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ সংস্কৃত ও পালি শিক্ষা বোর্ড। এই বোর্ডের নিয়ন্ত্রণাধীন প্রতিষ্ঠানসমূহ আজ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। যার ফলশ্রুতিতে হিন্দু ও বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের জনগোষ্ঠী প্রাতিষ্ঠানিক ধর্মীয় শিক্ষা থেকে প্রতিনিয়ত বঞ্চিত হচ্ছে। এ দেশের দ্বিতীয় বৃহৎ জনগোষ্ঠী হিন্দু সম্প্রদায় প্রায় সম্পূর্ণরূপে ধর্মীয় চেতনাহীন ও নৈতিক শিক্ষাহীন হয়ে গড়ে উঠছে। বর্তমানে এ প্রতিষ্ঠানে একজন শিক্ষক মাসিক সর্বসাকুল্যে ১৭৯ টাকা এবং একজন কর্মচারী মাসিক ৭৮ টাকা বেতন ভাতা পেয়ে থাকেন। বাংলাদেশ সংস্কৃত ও পালি শিক্ষকদের জাতীয় পে- স্কেলভুক্তকরণ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ সংস্কৃত ও পালি শিক্ষক সমিতির মহাসচিব ২০১৯ সালের মার্চ মাসে শিক্ষামন্ত্রীর কাছে বিস্তারিত উল্লেখ করে এক আবেদন করেন। এ আবেদনপত্রে পরিকল্পনামন্ত্রী বিহিত ব্যবস্থার জন্য সুপারিশ করেছিলেন। কিন্তু এখন অবধি এ আবেদন সরকারের বিবেচনায় আসেনি।

    বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের দাবিগুলো হলো-

    ১. ধর্মীয় জাতিগত সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর উন্নয়ন ও কল্যাণে জাতীয় রাজস্ব বাজেট থেকে বার্ষিক বরাদ্দ প্রদান করে হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টসমূহকে ফাউন্ডেশনে রূপান্তরকরণ।
    ২. ধর্মীয়-জাতিগত সংখ্যালঘুদের স্বার্থ সংরক্ষণ ও উন্নয়নের জন্যে সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন প্রণয়ন, সংখ্যালঘু মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশন গঠন,
    ৩. ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সঠিক শুমারির উদ্যোগ গ্রহণ
    ৪. প্রতিটি জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে মডেল মন্দির/প্যাগোডা/গির্জা ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপন।
    ৫. বিগত পাঁচ দশক ধরে বাজেটে ধর্মীয় বৈষম্যের কারণে ৫ হাজার কোটি টাকা সংখ্যালঘুদের উন্নয়ন ও কল্যাণে থোক বরাদ্দ প্রদান।
    ৬. বাংলাদেশ সংস্কৃত ও পালি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে কর্মরত শিক্ষক ও কর্মচারীদের জাতীয় পে-স্কেলভুক্তকরণ।

    Array
    We use all content from others website just for demo purpose. We suggest to remove all content after building your demo website. And Dont copy our content without our permission.
    আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
    Jugantor Logo
    ফজর ৫:০৫
    জোহর ১১:৪৬
    আসর ৪:০৮
    মাগরিব ৫:১১
    ইশা ৬:২৬
    সূর্যাস্ত: ৫:১১ সূর্যোদয় : ৬:২১

    আর্কাইভ