ইসলামী সংগীতাঙ্গনে নতুন গীতিকার হিসেবে একনিষ্ঠ ভাবে গীত রচনা করে জনপ্রিয়তা পেয়েছেন কবি শাহারুল ইসলাম সুজন। তরুণ এই গীতিকার তিন বছর ধরে বাংলা সাহিত্য ও ইসলামি সংগীত নিয়ে কাজ করছেন। সাড়া জাগানো বেশকিছু সংগীত লিখে তিনি পরিচিত হয়ে উঠেন। হামদ, না’ত, মরমী, জাগরণী, প্রতিবাদী লেখনীর মাধ্যমে শ্রোতাদের মনোরঞ্জন করে সুনাম অর্জন করেছেন শাহারুল।
তার লেখা ৩১ টি সংগীত প্রকাশ পেয়েছে কলরব, হ্যাভেন টিউন, টিউন হাট, ফেমাস টিউন, রিসালাহ, ডিভাইন স্টুডিওসহ কয়েকটি প্লাটফর্ম থেকে।
রিলিজ হওয়া সংগীতের মধ্যে-
মিছে আশা, ক্ষণিকের জীবন, প্রেরণার আলো, বাবা হারানোর বেদনা, সবার প্রিয় মা, শোনো প্রিয় আম্মু, কি হলো মোর দেশটাতে, খোকার ইবাদত, লাল সবুজের স্বাধীনতা, বিজয়ীর মান, আমি বাংলার সন্তান, পথশিশু, এই সমাজের মানুষ, রহমের বৃষ্টি, অনাথ শিশু, মা যে আমার নয়নমণি, বিদায়ের ডাক, এসেছে রমজান, বার্তা নিয়ে সুমহান, বরকতের মাস, ত্যাগের ঈদ, কুরবানী, ঈদ মোবারক করতে হবে জয়- অন্যতম।
এছাড়া নতুন কুঁড়ি, নামে মুসলমান, মুসাফির, মরণ তো কাছাকাছি, আল্লাহকে ভালোবাসি, আপন হলে রব, সেলফি ভাইরাস, ভন্ডের গন্ডি, চোগলখোরী, আধুনিক প্রেম খেলা, বিদায়ী ডাক, খুলুকে আযীম’সহ পঁচিশটিরও বেশি সংগীতের কাজ চলমান। ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে তার লেখা কিছু সংগীত তৈরি হচ্ছে। ধারাবাহিক ভাবে সেগুলো প্রকাশ পাবে এবং শ্রোতাদের মন জয় করবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন শাহারুল ইসলাম সুজন।
উল্লেখ্য শাহারুল ইসলাম সুজন ১৪ জানুয়ারি ২০০৩ হলুদবুনিয়া গ্রামের দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের কয়রা থানায় জন্মগ্রহণ করেন।
শিক্ষাজীবনে সাউথ এশিয়া ফাউন্ডেশন SAF Madanzeet Singh স্কলার্শিপে কাঠমান্ডু বিশ্ববিদ্যালয়ে Bachelor in Development Studies অধ্যায়নের জন্য গেছিলাম। ৩.৫ মাস পর অসুস্থতার জন্য দেশে এসেছিলাম। বর্তমানে খুলনার ‘বিএল’ কলেজে অধ্যায়নরত আছেন।
এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, ছোট থেকেই গাইতাম। ভাবতাম যদি এমন সংগীত লিখতে পারতাম। দশম শ্রেণিতে থাকাকালীন প্রতিবাদী লেখা দিয়ে লেখালেখির সূচনা। উচ্চমাধ্যমিকে অধ্যায়নকালে জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় ছড়া, কবিতা, গল্প লেখার পাশাপাশি, পিতার অনুপ্রেরণায় সংগীত লিখতে শুরু করি।
শুরু থেকেই আমার লেখা সংগীত দেশসেরা শিল্পীদের কণ্ঠে রিলিজ হতে থাকে।বিশেষ করে- হামদ, না’ত, মরমী, বাস্তবধর্মী, প্রতিবাদী সংগীত লিখি।এপর্যন্ত ৩১ টি সংগীত রিলিজ হয়েছে। বেশিরভাগ কলরব, হ্যাভেন টিউন নাশিদ ব্রান্ডের শিল্পীদের কণ্ঠে রিলিজ হয়েছে ।কলরব শিল্পীগোষ্ঠী থেকে গতবছর রিলিজ হওয়া ‘মিছে আশা’ গজলটি ৪.৮ মিলিয়নের বেশি মানুষ দেখেছেন।
সংগীত নিয়ে ভবিষ্যত জানতে চাইলে তিনি জানান, আল্লাহ আমাকে লেখালেখির যে শক্তি দান করেছেন, আমি চাই লেখনীর মাধ্যমে আল্লাহর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ, রাসুলের ভালোবাসা, সুবিধাবঞ্চিত মানুষের পক্ষে, সমাজের অন্যায়, অনিয়মের বিরুদ্ধে সংগীত রচনা করতে।আমার লেখা সংগীত যদি শ্রোতাদের মন জয় করতে পারে, মানুষের মাঝে দ্বীনের ভালোবাসা সঞ্চার করতে পারে, মানুষকে অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে শেখায় – সেখানেই আমার সার্থকতা।
Array