বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক: ময়মনসিংহ শহর থেকে খানিকটা এগোলেই বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি)। প্রায় ১২৫০ একর জমি নিয়ে গঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ কিংবা শহরে যাতায়াতে অটোরিকশা ও চীনের বোরাক গাড়ি ব্যবহার করতে হয়। সম্প্রতি যাতায়াতের মাধ্যম অটো রিকশার ভাড়া বেড়েছে প্রায় দ্বিগুন। ভাড়া বেশি কেন নিচ্ছে জানতে চাইলে অটো রিকশাওয়ালার একটাই উত্তর ‘জিনিসের দাম বেশি তাই ভাড়াও বেশি’। এদিকে বাকৃবির শিক্ষার্থীদের কাছে বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে অতিরিক্ত ভাড়া।
বাকৃবি শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, তিন মাস আগেও যেখানে বাকৃবির আব্দুল জব্বার মোড় থেকে গাঙ্গিনার পাড় যেতে রিকশা ভাড়া ছিলো ৫০ টাকা। বর্তমানে ওই ভাড়া ৭০ থেকে ৮০ টাকা। বাকৃবির অনেক শিক্ষার্থীরা শহরে টিউশন সানকি পাড়া, আকোয়া, টাউন হল ও পুলিশ লাইনে টিউশন করাতে যায়। রিকশাওয়ালারা স্থান ভেদে রিকশা ভাড়া দশ থেকে চল্লিশ টাকা পর্যন্ত বাড়তি ভাড়া দাবি করছে। রিকশাচালকদের অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের কাছে অনেকটাই অসহায় হয়ে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা। দরকারি সময়ে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে কিংবা হেঁটেই গন্তব্যে যেতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের।
এছাড়া ক্যাম্পাস নেই কোন রিকশা ভাড়ার তালিকা । আব্দুল জব্বার থেকে টাউনহল পর্যন্ত যেতে আগে যে রিকশা ভাড়া ছিল ৬০ টাকা হঠাৎ করে রিকশা ভাড়া বেড়ে হয়েছে ৮০-৯০ টাকা। আগে ব্রীজ থেকে কেওয়াটখালী বাজার যেতে বোরাক গাড়ির ভাড়া ৫ টাকা নিত। এখন এই ভাড়া বেড়ে হয়েছে ১০ টাকা। এছাড়াও ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরেও ভাড়া বেড়েছে স্থানভেদে ১০-১৫ টাকা । হোসেন শহীদ সোহ্রাওয়ার্দী হল থেকে আব্দুল জব্বার মোড় যেতে আাগে লাগতো ১০ টাকা এখন ১৫-২০ টাকা। অনেক সময় দেখা যায় রিকশা কম থাকলে কারণ ব্যতিত ভাড়া বাড়িয়ে দেয় রিকশাওয়ালারা।
পশুপালন অনুষদের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আহসান উল্লাহ বলেন, হঠাৎ করে রিকশা ভাড়া বেড়ে যাওয়ায় টিউশনিতে যেতে অসুবিধা হচ্ছে ।
এমনিতেই ভাড়া বেশি তার সাথে রিকশাওয়ালা খুব খারাপ আচরণ করে । তাদের অতিরিক্ত ভাড়ার কারণ জানতে চাইলেই বলে ‘রিকশা কম তাই ভাড়া বেশি’। ঝড় কিংবা বৃষ্টির কারণ দেখিয়ে তারা ভাড়া বেশি চায়। আবার সড়কে রিকশা কম থাকলে তো মনে হয় তাদের রিকশা ভাড়া যেন এখন নিলামে তুলছেন।
অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের কারণ জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের আব্দুল জব্বার মোড়ে দাঁড়ানো একজন অটো রিকশাওয়ালা বলেন, ‘একদিন পরপর শহরে অটো নিতে দেয়। বাকি তিন দিন এলাকার মধ্যে ভাড়া মারি। তেমন বাড়া মারতে পারি না। দৈনিক সাতশ-আটশ জমা দেওয়া লাগে মালিকের কাছে। আগের থেইক্কা জিনিস পত্রের দামও বাড়ছে অনেক। এরপর নিজের তিনবেলা খাওন, সংসারের খরচা তো আছেই। এর জনই বাড়াইয়া দিছে সবাই ভাড়া।’
Array