পুরুষের ভেতরে বন্ধ্যাত্বের সমস্যা বেড়ে চলেছে। সন্তান না হলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই নারীকে দায়ী করা হয়। তবে এর জন্য দায়ী হতে পারেন পুরুষও।
কারণ উভয়ের ক্ষেত্রেই বন্ধ্যাত্বের সমস্যা থাকতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্পার্মের মান কমে যাওয়া, শুক্রাণুর সংখ্যা প্রয়োজনের তুলনায় কম থাকা এবং ইরেকটাইল ডিসফাংশনসহ আরও কিছু কারণে পুরুষের বন্ধ্যাত্ব দেখা দিতে পারে। এই সমস্যার পেছনে থাকতে পারে কিছু বদ অভ্যাস। জেনে নিন কোন ভুলগুলো পুরুষের বন্ধ্যাত্ব ডেকে আনে-
ধূমপান ও মদ্যপান
শরীরের বিভিন্ন ক্ষতির জন্য ধূমপান ও মদ্যপান দায়ী। এই দুই অভ্যাস পুরুষের স্পার্মের মানও কমিয়ে দিতে পারে। তাই এ ধরনের অভ্যাস থাকলে তা যত দ্রুত সম্ভব বাদ দিতে হবে। এতে বন্ধ্যাত্বের মতো সমস্যা থেকে বাঁচা সহজ হবে। যদি সহজে ছাড়তে না পারেন তবে দ্রুত বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। তার পরামর্শ অনুযায়ী চললে এই অভ্যাস পরিত্যাগ করা সহজ হবে।
সুগার নিয়ন্ত্রণ
টাইপ টু ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে চলেছে। ডায়াবেটিসও কিন্তু বন্ধ্যাত্বের কারণ হতে পারে। তাই যেভাবেই হোক, সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। নয়তো স্পার্মের মান কমে যেতে পারে এবং ইরেকটাইল ডিসফাংশনের মতো একাধিক জটিলতা দেখা দিতে পারে।
দুশ্চিন্তা
জীবনে দুশ্চিন্তা কিছু তো থাকবেই। তবে তা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। কারণ দুশ্চিন্তা হলো নীরব ঘাতক। এটি নানাভাবে শরীর ও মনের ক্ষতি করে। স্ট্রেস হরমোন বাড়লে ইরেকটাইল ডিসফাংশনও হয়। যে কারণে বন্ধ্যাত্বের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা থেকে নিজেকে দূরে রাখতে হবে। মন ভালো থাকে এমন কাজ করতে হবে নিয়মিত।
ঘুমের অভাব
একজন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির জন্য দিনে ৭ ঘণ্টা ঘুম প্রয়োজন। এর থেকে কম সময় ঘুমালে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে। এমনকী দেখা দিতে পারে বন্ধ্যাত্বও। গবেষণা বলছে, নিয়মিত ঘুমের ঘাটতি দেখা দিলে ইরেকটাইল ডিসফংশনের মতো সমস্যার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। এ কারণেই ঝুঁকি বাড়ে বন্ধ্যাত্বের। তাই দিনে কমপক্ষে ৭ ঘণ্টা ঘুমের অভ্যাস করুন। ঘুমে সমস্যা হলে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
ফার্টিলিটি বজায় রাখতে যা করবেন
* দুশ্চিন্তা দূর করতে হবে। নিজেকে ভারমুক্ত রাখতে হবে।
* সব ধরনের নেশা ত্যাগ করতে হবে।
* প্রতিদিন অন্তত ত্রিশ মিনিট শরীরচর্চা করতে হবে।
* জাঙ্ক ফুড বাদ দিতে হবে। এর পরিবর্তে তাজা ফল, শাক ও সবজি খেতে হবে।
* দৈনিক অন্তত ৭ ঘণ্টা ঘুমাতে হবে।
Array