পদ্মায় গোসলে নেমে নিখোঁজ হওয়া কলেজছাত্র সাইমের পরে এবার উদ্ধার হলো রিফাত খন্দকারের (১৭) মরদেহ। শনিবার (১১ জুন) বেলা ১২টায় নগরীর শ্রীরামপুর এলাকার ঘটনাস্থল থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিরা।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, রাজশাহী সদর ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক ওহিদুল ইসলাম।
এদিন সকাল সাড়ে ৬টায় ঘটনাস্থলের ৫০ গজ দূর থেকে সাইমের (১৭) মরদেহ উদ্ধার করা হয়। সাইম রাজশাহী মহানগরীর মেহেরচন্ডী এলাকার সাঈদুর রহমানের ছেলে। আর রিফাত নগরীর দরগাপাড়া এলাকার বাসিন্দা খাজা মইনুদ্দিনের ছেলে।
জানা গেছে, শনিবার সকাল ১১টার দিকে পদ্মা নদীর চরে খেলাধুলা শেষে বন্ধুদের সঙ্গে গোসলে নামে রিফাত ও সাইম। গোসলের এক পর্যায়ে তারা দুজন পানিতে তলিয়ে যায়। এরপর ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল দিনভর অভিযান চালিয়েও তাদের সন্ধান পায়নি। ঘটনার পরের দিন রোববার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে স্থানীয় জেলেরা সাইমের মরদেহ ভাসতে দেখে ফায়ার সার্ভিসে খবর দেয়। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা তার মরদেহ উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে পাঠায়।
এর সাড়ে ৬ ঘণ্টা পরে পদ্মা নদীর তলদেশ থেকে রিফাত খন্দকারের মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিরা।
রাজশাহী সদর ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক ওহিদুল ইসলাম বলেন, নিখোঁজ দুজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সকালে সাইমের মরদেহ ও দুপরে রিফাতের। রিফাতের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তের প্রক্রিয়া চলছে।
রাজশাহী নৌ পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর মো. শারিয়ার রেজা বলেন, সকালে উদ্ধার হওয়া সাইমের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। আর দুপুরে উদ্ধার হওয়া রিফাতের মরদেহ হস্তান্তরের কার্যক্রম চলছে। এই ঘটনায় মামলা হবে।