মো: ওমর ফারুক, অনলাইন ইনচার্জ: শরীয়তপুরের ডামুড্যায় কাজল আক্তার (১৫) নামের এক শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা মামলায় এক আসামিকে ফাঁসি ও তিনজনকে যাবজ্জীবনের রায় দিয়েছে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল। এছাড়া ক্ষতিপূরণ বাবদ সকল আসামিকে দুই লক্ষ টাকা প্রদানে আদেশ দেওয়া হয়।
বুধবার (৭ই জুন) দুপুর ১টায় এই আদেশ দেন শরীয়তপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারপতি স্বপন কুমার সরকার।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ডামুড্যা পৌরসভা ৬ নম্বর ওয়ার্ডের তাজুল চৌকিদারের ছেলে বাবু চৌকিদার (২৫)।
যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তরা হলেন, ডামুড্যা পৌরসভা ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাচ্চু সরদারের ছেলে ফারুক সরদার (২৪), একই এলাকার আজগর আলী খানের ছেলে জুয়েল খান (১৯), ৪ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত বাদশা মিয়ার ছেলে তানভীর হোসেনকে ওরফে শামীম সরদার (২২)।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ফিরোজ আহমেদ আজকালের বার্তাকে বলেন, ‘গত ২০২০ সালে ডামুড্যার কাজল আক্তার নামের এক নারীকে ধর্ষণের পর হত্যা করে তার-ই বাড়ির পাশে খালে ফেলে দেওয়া হয়। রাতে তার পরিবার অনেক খোঁজাখুঁজি করে, কিন্তু পায়নি। সকালে বাড়ির পাশে লাশ ভাসতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়।
পুলিশ এসে তার লাশ উদ্ধার করে। সেদিন-ই তার বাবা একটি মামলা করে। ওই মামলার রায় আজ ঘোষণা হয়েছে। এতে এক আসামিকে ফাঁসি ও অন্য তিন আসামিকে যাবজ্জীবন সাজা প্রদান করে বিজ্ঞ আদালত।
আমরা এই রায়ে খুশি। পাশাপাশি মামলার আসামিদেরকে দুই লক্ষ টাকা জরিমানা করে আদালত। অনাদায়ে ছয় মাসের জেল প্রদান করা হয়। আমরা চাই এই রায় যেন দ্রুত কার্যকর হয়।’
উল্লেখ্য ২০২০ সালের অক্টোবরের ২০ তারিখ সন্ধ্যা আনুমানিক সাড়ে ৭টার সময় ডামুড্যা পৌরসভার কলকুড়ি গ্রামের কাজল আক্তার (১৫) প্রতিবেশী নিধি ডাক্তারের বাড়িতে টিভি দেখার জন্য যায়।
কাজল ঘরে ফিরে না আসলে রাত ৮টার দিকে তার বাবা আলাউদ্দিন ছৈয়াল (৫৫) নিধি ডাক্তারের বাড়িতে গিয়ে খোঁজ করেন। তাকে সেখানে না পেয়ে বাড়ির আশপাশে খোঁজ করেন। পরদিন সকাল আনুমানিক ৬টার সময় বাড়ির লোকজন ও আশপাশের লোকজন বাড়ির পাশে সরকারি খালের দক্ষিণ পাশে পানির মধ্যে কাজল আক্তারের মৃত দেহ দেখতে পায়।
পরবর্তীতে ডামুড্যা থানা পুলিশকে সংবাদ দিলে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে কাজল আক্তারের মৃতদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত শেষে ময়নাতদন্তের জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে।
Array