ওসমানীনগর প্রতিনিধি: বাংলাদেশ সরকারের নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালেদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, দেশকে স্বনির্ভর ভাবে গড়ে তুলতে দক্ষ ও শিক্ষিত জনশক্তির বিকল্প নেই। প্রবাসী বালাগঞ্জ-ওসমানীনগর এডুকেশন ট্রাস্ট শিক্ষাবৃত্তি দিয়ে আর্থিকভাবে অসচ্ছল মেধাবী শিক্ষার্থীদের যে সহযোগিতা করছে তার সুফল পাবে পুরো জাতি।
আগামীদিনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় প্রধানমন্ত্রী পিছিয়ে থাকা জনগোষ্ঠির মধ্যে সুশিক্ষার আলো পৌঁছে দিতে বদ্ধপরিকর। ট্রাস্টের এই কর্মকান্ড সরকারের লক্ষ্যকে বেগবান করছে। দক্ষ জনবল তৈরিতে প্রবাসী অধ্যুষিত ওসমানীনগরে একটি টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ প্রয়োজন। সবার সহযোগিতা থাকলে আগামী একবছরের মধ্যে ওসমানীনগরে সরকারি অর্থায়নে টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ স্থাপন করা হবে।
বুধবার (৭ জুন) দুপুরে সিলেটের ওসমানীনগরে প্রবাসী বালাগঞ্জ-ওসমানীনগর এডুকেশন ট্রাস্টের বৃত্তি বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি কথাগুলো বলেন।
উপজেলার বুরুঙ্গা ইকবাল আহমদ স্কুল ও কলেজ প্রাঙ্গণে বৃত্তি বিতরণ অনুষ্টানে সভাপতিত্ব করেন ট্রাস্টের সভাপতি বদরুল ইসলাম। সাধারণ সম্পাদক নাজমুল ইসলামের পরিচালনায় অনুষ্টানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সিলেট ৩ আসনের সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিব, ওসমানীনগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শামীম আহমদ।
মন্ত্রী খালেদ মাহমুদ তাঁর বক্তব্যে আরও বলেন, দেশের ৫৪টি নদীর মধ্যে কুশিয়ারা একটি আন্তঃ রাষ্ট্রীয় নদী। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারত সরকারের সাথে কুশিয়ারা নদীর পানি বন্টন চুক্তি করেছেন। কুশিয়ারা নদী থেকে ভারত এবং বাংলাদেশ কতটুকু পানি পাবে সেটা নিষ্পত্তি হয়ে গেছে। কুশিয়ারা নদীর নাব্যতা শুধু নয়, মানুষের জীবন জীবিকার জন্য কুশিয়ারা নদীকে কিভাবে কাজে লাগানো যায় তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি পানি সমস্যায় থাকা সিলেটের অনাবাদী জমিগুলোকে চাষের আওতায় এনে সিলেটের শস্যভান্ডারকে আরও সমৃদ্ধ করা হবে।
বৃত্তিপ্রদান অনুষ্টানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আনা মিয়া, সিলেট জেলা পরিষদের সদস্য আব্দুল হামিদ, উমরপুর ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম কিবরিয়া, তাজপুর ইউপি চেয়ারম্যান অরুনোদয় পাল ঝলক, গোয়ালাবাজার ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান আতাউর রহমানসহ ট্রাস্টি ও স্থানীয় রাজনৈতিক-সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
ট্রাস্টের উদ্যোগে চলতি বছর দুই উপজেলার মোট ১২২৫ জন শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রায় ৫১ লক্ষ টাকার বৃত্তি বিতরণ করা হয়। এরমধ্যে ওসমানীনগর উপজেলার ৩৯ বিদ্যালয়ের ৮৭৯ জন ও বালাগঞ্জ উপজেলার ২৫ টি বিদ্যালয়ের ৩৪৬ জন শিক্ষার্থী বৃত্তির অর্থ ও সনদপত্র গ্রহন করেন।
Array