ওসমানীনগর প্রতিনিধি:- পর্তুগালে ওসমানীনগরের খাগদিওর গ্রামের সুরুজ আলীর ছেলে নুরুল ইসলাম সাজু (২৫) আত্মহত্যার ঘটনায় মামলা দায়ের করা করা হয়েছে। ৩০ মে সাজুর মা আছিয়া বেগম বাদী হয়ে ছেলের আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে সাজুর স্ত্রী ও শাশুড়িকে আসামী করে ওসমানীনগর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
গত ১৬ মে সাজু পর্তুগালের লিবসন শহরের নিজ বাসায় গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন। গত ২৮ মে গভীর রাতে সাজুর লাশ দেশে পৌঁছালে পরদিন রবিরার দুপুরে দাফন সম্পন্ন হয়।
জানা যায়, গত প্রায় ৫ বছর আগে ওমানে পাড়ি দেন সাজু। এর পর সেখান থেকে গ্রীস হয়ে পর্তুগাল গিয়ে প্রায় ৩ বছর ধরে বসবাস করছেন। বিদেশ যাওয়ার আগ থেকেই পাশ্ববর্তী তাজপুর ইউনিয়নের দুরাজপুর গ্রামের লুৎফুর রহমানের মেয়ে লুৎফা বেগমের (২০)সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিল।
পর্তুগাল থাকাবস্থায় সাজু লুৎফার পরিবারের সাথে আলোচনা করে ভিডিও কলের মাধ্যমে লুৎফাকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর লুৎফাকে সরাসরি পর্তুগালে নেয়ার ব্যবস্থা না থাকায় স্টুডেন্ট ভিসায় ইংল্যান্ডে নেয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেন। উদ্দেশ্য ছিল ইংল্যান্ডে চলে গেলে সেখান থেকে লুৎফাকে পর্তুগালে নিয়ে যাবেন সাজু।
এই উদ্দেশ্যে লুৎফাকে ইংলিশের কোর্স করানোসহ প্রায় ১৪লাখ টাকা ব্যয় করে প্রস্তুতি গ্রহণ করেন। কিন্তু এতকিছু করার পরও লুৎফা তার মায়ের প্ররোচনায় অন্য একজনের সাথে কন্ট্রাক্ট ম্যারেজের মাধ্যমে ইংল্যান্ডে যাওয়ার প্রস্তুতি নেন। সাজু তার স্ত্রীর এই প্রতারণা সইতে না পেরে গত ১৬ মে বাংলাদেশ সময় ৩টার দিকে পর্তুগালে তার শয়ন কক্ষের দেয়ালে থাকা লোহার স্ট্যান্ডের সাথে দরজার পর্দা দ্বারা গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন।
সাজুর মা আছিয়া বেগম বলেন, আমার ছেলে সাজু লুৎফা বেগমকে মোবাইল ফোনে বিয়ে করে। লুৎফাকে ইংল্যান্ডের নেয়ার জন্য আইএলটিএসসহ সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করলে লুৎফা আমার ছেলের সাথে প্রতারণা করে। এমন প্রতারণার সইতে না পেরে আমার ছেলে আত্মহত্যা করে মারা গেছে।
দোষীদের দৃষ্ঠান্তমূলক শাস্তির দাবিও জানান তিনি।
ওসমানীনগর থানার ওসি মাছুদুল আমিন বলেন, সাজুর মায়ের লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে মামলা রুজু করা হয়েছে। ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।