মোঃজেহান উদ্দিন মৃধা, খুবি প্রতিনিধি: বিকেল বেলা কিছু উঠতি বয়সী ছেলেমেকে দেখা গেলো খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে দাঁড়িয়ে বিভিন্ন অঙ্গভঙ্গী করে ছবি তুলছে। কেউবা ভিডিও করছে। একটু খেয়াল করলেই বোঝা যায় ছবি তোলার জন্য তাদের প্রশাসনিক ভবনের সামনেই কেন যাওয়া। প্রশাসনিক ভবনের সামনে সারি সারি হয়ে ফুটেছে উজ্জ্বল হলুদ বর্ণের সূর্যমুখী ফুল।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে সাধারণত প্রশাসনিক কর্মসময়ের পরে বিভিন্ন শ্রেণির মানুষ ঘোরাঘুরি করতে আসে। পূর্বে এসকল মানুষের বেড়ানোর জায়গা ছিলো বিশ্ববিদ্যালয়ের লেকপাড়, খাজার মাঠ কিংবা অদম্য বাংলা। কিন্তু তাজউদ্দীন আহমেদ প্রশাসনিক ভবনের সামনে সুসজ্জিতভাবে ফুটে ওঠা সূর্যমুখী ফুলের বাগানই হয়ে উঠেছে এখন বহিরাগত সৌন্দর্য পিপাসুদের প্রধান গন্তব্য স্থল। শুধু দেখেই খান্ত হননা তারা, বেশিরভাগই একাধিক ছবি তুলে স্মৃতির পাতায় রেখে দেন জায়গাটিকে।
ঘুরতে আসা কুয়েট শিক্ষার্থী মালোবিকা পুণ্ড্র বলেন, ‘খুবি আগে থেকেই এর সবুজাভ প্রকৃতির জন্য আমার খুব প্রিয়। এখন সবুজের মাঝে সুন্দর এই ফুটফুটে হলুদ সুন্দর সূর্যমুখী ফুলগুলো যেনো একদম স্বর্গের রূপ ধারণ করেছে।’
সূর্যমুখীর গাছগুলোর বিষয়ে কথা বলতে গেলে বাগানকর্মী বনলতা বর্মন বলেন যে এর পূর্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গমাতা হলে সূর্যমুখীর এরকম একটি বাগান করা হয়েছিলো। গাছগুলো খুব সুন্দর হয়ে বড় হয়েছিলো ও ফুলের মান ও পরিমান উভয়ই ভালো হয়েছিলো। কিন্তু মেয়েদের হল হওয়াই বাইরের মানুষ খুব একটা দেখতে সক্ষম হননি সেই বাগান। তাই নতুন করে প্রশাসনিক ভবনে সামনে এই বাগানটি তৈরি করা হয়েছে। প্রতিদিন দুইবেলা করে এর পরিচর্যা করা লাগে। প্রতি বেলায় অনেকটা সময় এর পেছনে দিতে হয়। একারণেই তো ফুলগুলো এত তাজা দেখা যায়।
বাগান দেখতে এসে অনেকে ফুল ছিড়ে ফেলে।এতে বাগানের সৌন্দর্য নষ্ট হয়। ফুল ছিড়ে যাতে বাগানের সৌন্দর্য নষ্ট না করা হয়।
Array