সমাজকল্যাণ সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেছেন, ‘দেশের সামগ্রিক অর্থনীতিতে চা শ্রমিকদের অবদান অনস্বীকার্য। সরকার চা শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করছে।’
রোববার (২৫ সেপ্টেম্বর) হবিগঞ্জের তেলিয়াপাড়া, বৈকুন্ঠপুর, নোয়াপাড়া ও জগদীশপুর চা বাগানে বাংলাদেশ জাতীয় সমাজকল্যাণ পরিষদের বাস্তবায়নাধীন ‘চা শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়নে টেকসই আবাসন নির্মাণ কর্মসূচি’ পরিদর্শনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
চতুর্থ শিল্প বিপ্লব ও তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর পরিবর্তনশীল বিশ্বের চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে চা শ্রমিকদের অবহিত করতে গিয়ে সমাজকল্যাণ সচিব বলেন, ‘নিকট ভবিষ্যতে হয়ত শ্রমিকদের স্থান দখল করবে যন্ত্র। তখন আপনারা কর্মহীন হয়ে পড়বেন। তাই, আপনাদের সন্তানদের শিক্ষিত করে গড়ে তুলুন। তারা শিক্ষিত হয়ে চাকরিজীবী বা উদ্যোক্তা হবে।’
তিনি বলেন, ‘সরকার চা শ্রমিকদের বিষয়ে আন্তরিক। আপনারদের সন্তানদের পড়াশোনা করাতে গিয়ে যদি আর্থিক সংকটে পড়েন, তাহলে স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিরা সহযোগিতা করবে। আপনাদের সমাজের মূল স্রোতে আসতে হবে। আর পিছিয়ে থাকা চলবে না।’
এ সময় বাংলাদেশ জাতীয় সমাজকল্যাণ পরিষদের নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন, হবিগঞ্জ সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক রাশেদুজ্জামান চৌধুরী ও স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ‘চা শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়নে টেকসই আবাসন নির্মাণ কর্মসূচি’র আওতায় হবিগঞ্জ জেলায় ৩ কোটি ৪০ লাখ টাকা ব্যয়ে ৮৫টি চা শ্রমিক পরিবারকে ঘর নির্মাণ করে দেওয়া হচ্ছে।
Array