পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলায় বাবার ট্রলির চাকায় পিষ্ট হয়ে ইয়ামিন হোসেন (৭) নামে এক শিশু নিহত হয়েছে।
ইয়ামিন ওই মাদরাসার ইয়াজদাহোম শ্রেণির (প্রথম শ্রেণি) ছাত্র ও হোগলা গ্রামের জাকির হোসেনের ছেলে। জাকির হোসেন পেশায় একজন ট্রলি চালক।
মাদরাসা ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, বুধবার ইয়ামিনের কোরআন শিক্ষার মৌখিক পরীক্ষা ছিল। দুপুর ১টার দিকে ইয়ামিন পরীক্ষা শেষে তার বাবার সঙ্গে ট্রলিতে করে বাড়ি যাচ্ছিল। ট্রলিটি কিছু সময় চলার পরই বাম পাশের সামনের চাকা সড়কের খাদে পড়ে গেলে ইয়ামিন গাড়ি থেকে ছিটকে নিচে পড়ে যায় ।
বাবা জাকির হোসেন ছেলের পড়ে যাওয়া খেয়াল না করে গাড়িটি টান দিলে পিছনের চাকায় পিষ্ট হয় ইয়ামিন। স্থানীয়রা শিশুটিকে উদ্ধার করে ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ইয়ামিনের বাবা জাকির হোসেন বলেন, দুই ছেলে এক মেয়ের মধ্যে ইয়ামিন সবার ছোট। ছেলেটি রোদের মধ্যে এই গরমে হেঁটে বাড়ি যাবে এই ভেবে ওকে আমি গাড়িতে তুলেছিলাম। কিন্তু মুহূর্তের মধ্যে কী থেকে কী হলে গেলে। আমার ছেলের মৃত্যু হলো আমার হাতে।
বুধবার (১০ মে) দুপুর দেড়টার দিকে উপজেলার বগা-বাউফল মহাসড়কের হোগলা দীনিয়া মাদরাসার দক্ষিণ পাশে এ ঘটনা ঘটেছে।
বাউফল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তদন্ত মো. মিজানুর রহমান বলেন, এটা খুবই দুঃখজনক ঘটনা। পরিবারের পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ না থাকায় আইনি প্রক্রিয়া শেষে নিহত ইয়ামিনের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
Array