পঞ্চগড় প্রতিনিধি: পঞ্চগড়ে নদীতে বড় বড় গর্ত করে তোলা হচ্ছে পাথর-পরিবর্তন হচ্ছে নদীর গতি পথ।ভারসাম্য হারাচ্ছে পরিবেশ। একদল পাথর লোভী নিজ ফায়দা হাসিলের জন্য সাধারণ পাথর শ্রমিকদের মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিচ্ছে।বর্তমান সময়ে নদীর পানি কমে চরের তৈরী হয়েছে।
সরেজমিনে ঘুরে এমনি দৃশ্য দেখা গেছে চুয়ামতি নদীতে।নদীকে ঘিরে চলছে পাথর উত্তোলনের মহোৎসব। ১০ থেকে ১৫ জনের একটি গ্রুপ করে নদীর বিভিন্ন জায়গায় খাঁদ করে চলছে পাথর তোলার আয়োজন।নদির এপারে রয়েছে চা বাগান আর ওপারে ভারতের চা বাগান, ভারতীয় সিমান্তের কাছাকাছি ও এপারে চা বাগান ঘেঁষে তোলা হচ্ছে পাথর।বিএসএফ ও বিজিবি সদস্যরা যখন টইল দিতে আসে তখন পাথর শ্রমিকরা লুকিয়ে থাকে আবার তারা চলে গেলে নদীতে নামে পাথর শ্রমিকরা। তবে পাথর উত্তোলনে শেল্টার দিচ্ছে স্থানিয় একটি প্রভাবশালী মহল বলে জানা গেছে। নদীর যেখানে সেখানে গর্ত করে পাথর উত্তোলনের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ফসলি জমির কৃষকরা ও সমতলে চা চাষে বাগান মালিকরা।
বর্ষাকালে এসব জমি নদীতে তলিয়ে যেতে পারে বলে মনে করছেন তাঁরা।হুমকির মুখে পড়ছে জীব বৈচিত্র্য। নদী হারাচ্ছে তার চির চেনা রুপ,চরে পরিণত হচ্ছে নদী।
কমছে পানি প্রবাহ।নদীর প্রশস্ত বেড়ে কমেছে গভীরতা।নদীর দুই তীর ভেঙ্গে অনেকের জমি – চা বাগান বিলীন হচ্ছে। প্রকৃতি হারাচ্ছে তার সৌন্দর্য। যেভাবে পাথর তোলা হচ্ছে প্রথমে দেখলে মনে হবে নদীতে মনে হয় মাছ ধরছে কিন্তু বাস্তবে তা নয়।
এভাবে চলতে থাকলে নদীর অস্তিত্ব থাকবেনা।এক সময় এসব নদীতে দেশিয় মাছ পাওয়া যেতো পাথর তোলার ফলে দেশিয় মাছ আজ বিলুপ্তির পথে।যানা যায় শ্রমিকদের ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা নামমাত্র মুজুরী দিয়ে মোটা অংকের ফায়দা লুটছেন তারা।
এর কারণে পরিবেশ যেমন হুমকির মুখে পড়ছে তেমনি নদী তার গতিপথ হারিয়ে প্রকৃতিতে বিরুপ প্রভাব ফেলছে।পাথর লোভীরা কোন কিছু তোয়াক্কা না করে পাথর উত্তোলন করেই যাচ্ছে।ফলে দিন দিন নদী তার প্রবহমান গতিপথ পাল্টে ভিন্ন দিকে ঘুরে যাচ্ছে।সাধারণ পাথর শ্রমিকরা ভারতীয় সিমান্তের কাছাকাছি জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যে ভাবে পাথর উত্তোলন করছেন এতে করে যে কোন সময় ঘটে যেতে পারে অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা। তাই অচিরেই পদক্ষেপ না নেওয়া গেলে দিতে হবে অনেক বড় খেসারত।
এ বিষয়ে তেঁতুলিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোহাগ চন্দ্র সাহার সাথে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান আমাদের অভিযান চলমান রয়েছে আমরা ভজনপুরের ডাহুক নদীতে অভিযান চালিয়েছি জেল জরিমানা করেছি এবং চুয়ামতি নদীতেও অভিযান পরিচালনা করা হবে।আর আমাদের এ অভিযান আরো বেগবান করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
Array