সাভারে একটি গার্মেন্টস ওয়াশ কারখানার কাছে দাবিকৃত চাঁদার ১০ লাখ টাকা না পেয়ে কারখানার মালিকসহ পরিবারের ৫ জনকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠেছে সাভার পৌর ছাত্রলীগ নেতা ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী ওই গার্মেন্টস ব্যবসায়ী।
আহতরা হলেন, আনন্দপুর এলাকার মৃত আইয়ুব আলীর ছেলে ও বিসমিল্লাহ ওয়াশ কারখানার স্বত্বাধিকারী ইউসুফ আলী চুন্নু (৪৫), তার ছেলে আবির হোসেন (২১), ছোট ভাই নান্নু, স্ত্রী রত্না ও ভাতিজা বাহাদুর (২৭)।
অভিযুক্ত মাসুম দেওয়ান ওরফে মুরগী মাসুম (২৫) সাভারের নামাগেন্ডা এলাকার হোসেন আলীর ছেলে ও সাভার পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি। এছাড়া তাকে সহযোগিতা করেছেন একই এলাকার ইমান আলির ছেলে ওরফে টেন্ডার আলমগীর (৩০), চাপাইন এলাকার সোহেল রানা ওরফে ধর্ষণ সোহেল (৩৩), নামাগেন্ডা এলাকার হাবু মিয়ার ছেলে নাদিম দেওয়ান ওরফে গুন্ডা নাদিম (২৪), উলাইল এলাকার আব্দুল জলিলের ছেলে টিপু ওরফে বালু টিপু (২৮), কাতলাপুর এলাকার বাবু ওরফে রড বাবু (২৮), একই এলাকার পলাশ ওরফে খাটা পলাশ (৩০), মজিদপুর এলাকার পাবেল ওরফে চাঁদাপাভেল (৩৫), নামাগেন্ডা এলাকার হানিফের ছেলে সজীবসহ (২৪) অজ্ঞাতনামা আরও ১০/১২ জন।
শনিবার (৬ মে) রাত ১০টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সাভার মডেল থানা পুলিশের পরিদর্শক (ইনটেলিজেন্ট) নয়ন কারকুন। এর আগে বিকেল ৫টার দিকে সাভারের আনন্দপুর এলাকার বিসমিল্লাহ ওয়াশ কারখানায় এ ঘটনা ঘটে।
অভিযোগ থেকে জানা যায়, গত ১ মাস ধরে ভুক্তভোগীর কারখানায় গিয়ে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিলেন অভিযুক্তরা। এরই ধারাবাহিকতায় শনিবার বিকেল ৫টার দিকে ওই কারখানায় অনধিকার প্রবেশ করে চাঁদাবাজরা। এসময় পূর্বের মত ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন তারা। দাবিকৃত চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে ভুক্তভোগীদের বেধড়ক মারধর করে নান্নুর পকেটে থাকা ৮৫ হাজার ও প্রতিষ্ঠানের ক্যাশবাক্স থেকে সাড়ে তিন লাখ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। পরে বাকি টাকা না দিলে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে দুই রাউন্ড ফাঁকা গুলি করে চলে যান তারা। পরবর্তীতে আহতদের উদ্ধার করে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
এ ব্যাপারে সাভার মডেল থানা পুলিশের পরিদর্শক (ইনটেলিজেন্টস) নয়ন কারকুন বলেন, ভুক্তভোগীরা অভিযোগ দায়ের করেছেন। তদন্ত করে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Array