পূর্বঘোষণা অনুযায়ী বৃহস্পতিবার (২০ এপ্রিল) পোশাক কারখানায় ঈদের ছুটি হওয়ায় একযোগে বাড়ি ফিরছেন শ্রমিকরা। বিকেলের পর থেকে যানবাহন ও যাত্রীর চাপ বাড়তে থাকায় প্রথমে যানবাহনের ধীরগতির সৃষ্টি হয়। তবে সন্ধ্যা থেকে শুরু হয় যানজট। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত প্রায় ২৯ কিলোমিটার যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
বিশমাইল থেকে সিরাজগঞ্জের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন শফিক সুমন। তিনি বলেন, আমরা বাড়ি ফেরার উদ্দেশ্যে বিশমাইল থেকে গাড়িতে উঠেছি। বিশমাইল থেকে পলাশবাড়ী পর্যন্ত পৌঁছাতে লেগেছে চার ঘণ্টা। সড়কে বিকেল থেকেই হালকা যানজট ছিল। কিন্তু সন্ধ্যায় ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। অসহ্য গরম আর যানজটে যে ভোগান্তি সীমাহীন।
বাইপাইল থেকে বগুড়ার উদ্দেশ্যে গাড়িতে উঠেছেন ছোটন সরকার। তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমাদের কারখানা ছুটির পর বিকেল ৫টায় গাড়িতে উঠি। কিন্তু আমাদের গাড়ি এখনো জিরানীবাজার পার হতে পারেনি। সড়কে হঠাৎ ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। আমাদের দুর্ভোগও বেড়েছে।
মৌমিতা পরিবহনের চালক কামরুল বলেন, সড়কের পরিস্থিতি বিকেল পর্যন্ত ভালো ছিল। কিন্তু এখন পরিস্থিতি খারাপ। নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এই যানজট রাতে ছাড়তে পারে। যতটুকু যানজট আজই হবে। কাল আর যানজট থাকবে না।
সন্ধ্যায় নবীনগর-চন্দ্রা, আব্দুল্লাহপুর-বাইপাইল ও ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক ঘুরে দেখে যায়, নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের নবীনগর থেকে চন্দ্রা পর্যন্ত প্রায় ১৮ কিলোমিটার সড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। আব্দুল্লাহপুর-বাইপাইল সড়কের বাইপাইল থেকে জামগড়া পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার, ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের নবীনগর থেকে বিপিএটিসি স্কুল অ্যান্ড কলেজ পর্যন্ত প্রায় ৯ কিলোমিটার সড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
এ ব্যাপারে ঢাকা জেলা উত্তর ট্রাফিক বিভাগের ইন্সপেক্টর (প্রশাসন) মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, গাড়ির চাপ আছে, তবে তেমন যানজট নেই। আছে যানবাহনের ধীরগতি। একটু আগে চাপ কম ছিল। এখন একটু গাড়ির চাপ বেড়েছে। চন্দ্রায় গাড়ির চাপ একটু বেশি আছে।
পুলিশের ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি সৈয়দ নুরুল ইসলাম বলেছেন, আজকের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আমাদের পর্যাপ্ত প্রস্তুতি রয়েছে। পর্যাপ্ত পুলিশ সড়কে যানজট নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। আশা করি অন্যান্য বারের তুলনায় এবার ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন হবে।
Array