ইউক্রেন যুদ্ধে অংশ নিতে গত বছর সেনা সমাবেশ করে রাশিয়া। প্রশিক্ষণ শেষে অনেককে যুদ্ধক্ষেত্রে পাঠানো হয় -রয়টার্স
সেনা সমাবেশ ও সেনা নিয়োগের ক্ষেত্রে বড় ধরনের পরিবর্তন এনেছে রাশিয়া। দেশটি আগে সেনা সমাবেশের জন্য হাতে হাতে নির্ধারিত ব্যক্তির কাছে নোটিশ পৌঁছে দিত। তবে সামনে থেকে আর হাতে নয়— অনলাইনের মাধ্যমে নোটিশ পাঠানো হবে। এ সংক্রান্ত একটি বিল রাশিয়ার পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ দুমায় তোলা হয়। যেটি মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) সর্বসম্মতিক্রমে পাশ করেছেন দেশটির আইনপ্রণেতারা।
গত বছর ইউক্রেন যুদ্ধকে কেন্দ্র করে ৩ লাখ সেনা সমাবেশের ঘোষণা দেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ওই সময় হাতে নোটিশ পৌঁছে দেওয়া হয়। কিন্তু যুদ্ধ থেকে বাঁচতে ওই নোটিশ গ্রহণ না করে অনেকে পালিয়ে যান। এ বিষয়টি আটকাতে এখন অনলাইন বা ইলেকট্রনিক নোটিশ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির সেনাবাহিনী।
এছাড়া এ বিলটি নতুন সেনা নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। প্রতি বছর দুইবার ১৮ থেকে ২৭ বছর বয়সীদের সেনাবাহিনীতে যুক্ত করে রাশিয়া।
নিম্নকক্ষে বিলটি পাশ হওয়ায় এখন এটি যাবে উচ্চকক্ষে। সেখানেও এটি সর্বসম্মতিক্রমে পাশ হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এরপর প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের স্বাক্ষরের মাধ্যমে বিলটি কার্যকর হবে।
এদিকে অভিযোগ উঠেছে, ইউক্রেনে যুদ্ধ করতে দ্রুত সময়ের মধ্যে সেনা সমাবেশ শেষ করতে এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তবে রুশ প্রেসিডেন্ট দপ্তর ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রো পেসকোভ দাবি করেছেন, সেনাবাহিনীকে আধুনিকায়ন করার অংশ এটি।
নতুন বিল অনুযায়ী, নির্দিষ্ট ব্যক্তিদের নাম উল্লেখ করে নোটিশ জারি করা হবে এবং এটি সরকারি ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে। প্রকাশের পরই এটি কার্যকর হয়ে যাবে। এরপর নোটিশগুলো অনলাইনের মাধ্যমে সেসব নির্দিষ্ট ব্যক্তির কাছে পাঠানোর সঙ্গে সঙ্গে ধরে নেওয়া হবে তিনি এটি বুঝে পেয়েছেন। ফলে তাৎক্ষণিক ওই ব্যক্তিকে স্থানীয় সেনা ক্যাম্পে যোগাযোগ করতে হবে।
যাদের নামে এ নোটিশ ইস্যু করা হবে তারা বিদেশে যেতে পারবেন না, বাড়ি-সম্পত্তি বিক্রি করতে পারবেন না এবং তাদের ড্রাইভিং লাইসেন্স বাতিল করে দেওয়া হবে।
সূত্র: বিবিসি, ফ্রান্স২৪
Array