• আজকের পত্রিকা
  • ই-পেপার
  • আর্কাইভ
  • কনভার্টার
  • অ্যাপস
  • ইসলামের ইবাদত সম্পর্কে জানুন 

     বার্তা কক্ষ 
    07th Apr 2023 9:41 pm  |  অনলাইন সংস্করণ
    • লেখকঃ মোহাম্মদ জাহেদুল ইসলাম আল রাইয়ান

    আলোচনায় বলেন আমরা এখন যে কালটা পার করতেছি।সেটা হচ্ছে মুমিনের বিজয়ের আগ মুহূর্তের সময়  বা কাল। আল্লাহ সুরা নিসা- ১৩৬ আয়াতে বলেন, হে ঈমানদারগণ তোমরা ঈমান আন।

    এর ব্যাখ্যা দিতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,তোমরা তোমাদের ঈমানকে তাজা কর। বর্তমান মুমিনদের ঈমান ক্ষয় হচ্ছে। ক্ষয় হতে হতে এমন অবস্থা হয়েছে। যা নতুন করে আবার ঈমান আনতে হবে ঈমানকে জাগ্রত করতে হবে। আল্লাহ তাআলা কুরআনের মধ্যে বলেন, তোমরাই বিজয় হবে তোমরাই মুমিন। অথচ আজ যে দিকে থাকাই সেই দিকে লাশ।

    আজ ফিলিস্তিনে মসজিদে আকসার দিকে থাকালে বুঝাতে পারবেন,ফিলিস্তিনের মুমিনরা কতইনা নির্যাতিত। শুধু লাশ আর লাশ। ক্ষত-বিক্ষত লাশে গড়ে উঠেছে বৃহত্তম কবরস্থান। আজ হিসাব করতে গেলে দেখা যায়, মুসলিমবিশ্ব নামক মানচিত্রটা কবরস্থানে পরিণত হয়েছে। এতে প্রশ্ন উঠে তাও কি আমরা বিজয়ী? হ্যাঁ অবশ্যই আমরাই বিজয় হব। কারণ আমরা মুমিন আমাদের বিজয়ের ঘোষণা আল্লাহ তায়ালা স্বয়ং নিজেই দিয়েছেন। বিজয় হবার জন্য আমাদের ঈমানকে তাজা করতে হবে।

    “সত্য মুক্তি স্বাধিন জীবন লক্ষ্য শুধু যাদের,
    খোদার রাহায় প্রান দিতে আজ ডাক পড়েছে তাদের।”

    অতপর  আলোচনা করেন ই’তিকাফ সম্পর্কে
    ই’তিকাফ এর,ভুমিকা ও পরিচয় :

    আলোচনা করেন ইতিকাফ আল ‘আকফু’ ধাতু হতে উৎপান্ন। বাবে ইফতি আল। অর্থ নিজেকে আবদ্ধ রাখ। আল্লাহর সান্নিধ্য লাভের উদ্দেশে নিজেকে মসজিদে আবদ্ধ রাখাকে ইতিকাফ বলে। আর যে ইতিকাফ থাকে তাকে মুতাকিফ বা আকিফ বলে।এটি হলো শরয়ী নির্দেশিত একটি ইবাদত। আল্লাহ সূরা বাকারার মধ্যে বলেন, আমি ইব্রাহিম ও ইসমাইলকে নির্দেশ দিয়েছি, তাওয়াফকারী ও এতেকাফকারী এবং রুকু সেজদা কারীদের জন্য পবিত্র রাখতে।

    হযরত আবু হুরায়রা রাঃ বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রতি রমজানের শেষ দশ দিন ইতিকাফ করতেন। এমকি যে বছর তিনি মৃত্যুবরণ করেন সেই বছর ও ইতিকাফ করেছেন।

    হযরত আবু সাইদ কুদরী( রাঃ) হতে বর্ণীত রাসুল(সাঃ) বলেন, তোমরা রমজানের শেষ দশকে লাই লাতুল কদর তালাশ কর।

    ইতিকাফ এর প্রকার:
    ইতিকাফ দু”প্রকার ১/ সুন্নত ২/ওয়াজিব
    ১/সুন্নত হলো যা রাসুল সা: থাকেছেন এবং তাঁর পরিবার থাকেছেন।
    ২/ ওয়াজিব হলো মান্নত করে থাকা।

    ইতিকার এর স্হান :
    ইতিকার এর স্হান হবে জমাত সহকারে নামাজ হয় এমন মসজিদ। কেউ কেউ বলেন সকল মসজিদ।

    ইতিকাফ এর সময়
    ইতিকাফ এর সময় হলো ২০শে রমজান মাগরীব এর আগে ডুকা এবং শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখার পর মাগরীব বাদ মসজিদ থেকে বিদায় নেওয়া।
    এবং মহিলা ও ইতিকাফ করতে পারবে তবে শর্ত রয়েছ, ১/ স্বামী বা মহরম ব্যাক্তির অনুমতি লাগবে।
    ২/নিরাপদ স্হান হতে হবে। ৩/ফেতনার আশংকা বিহীন হতে হবে।

    ইতিকাফ বাতিল হওয়ার কারণ:
    ১/ স্ত্রী সহবাস করা।
    ২/বিনা কারণে মসজিদ থেকে বাহির হওয়া।

    শেষ কথা:
    আল্লাহর নৈকট্য লাভের জন্য ইতিকাফ থাকা। দুনিয়াবি কাজ ও বিনা কারণে কথা বলা গল্প করা থেকে বিরত থাকা।মসজিদপর আদব রক্ষা করে থাকা।আল্লাহর নিকট ক্ষমা চাওয়া এবং বেশি বেশি কুরআল তেলাওয়াত ও ইবাদত করা। আল্লাহ আমাদের কে সঠিক ভাবে ইতিকাফ পালন করে। তাঁর নৈকট্য অর্জন করে গুনাহ ক্ষমা করে নেওয়ার তাওফিক দান করুক।(আমিন।

    Array
    We use all content from others website just for demo purpose. We suggest to remove all content after building your demo website. And Dont copy our content without our permission.
    আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
    Jugantor Logo
    ফজর ৫:০৫
    জোহর ১১:৪৬
    আসর ৪:০৮
    মাগরিব ৫:১১
    ইশা ৬:২৬
    সূর্যাস্ত: ৫:১১ সূর্যোদয় : ৬:২১

    আর্কাইভ