- মোহাম্মদ নুরুল আব্ছার
আমাদের প্রতিটি দিন শুরু করার পূর্বে বারবার নিজেদের স্মরণ করে দেয়া উচিত যে আমাদের দিনগুলো শুরু ও শেষ হয় শয়তানের সাথে যুদ্ধ এবং আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ’লার আনুগত্যের মাধ্যমে। সুতরাং আপনি যদি কেবল আল্লাহর ইবাদত করার উদ্দেশ্যে ময়দানে নামেন তবে অন্যদিকে শয়তানের মত হার না মানা বদ-সৈনিক আপনাকে আক্রমণ করার জন্যে আড়ালে সদাপ্রস্তুত রয়েছে। ফলস্বরূপ আপনি আল্লাহর ইবাদাত করলেও খুব সহজেই যেকোনো পাপে জড়িয়ে পড়বেন শয়তানের ধোকায়।
তবে কেমন হয়, যদি দিনের শুরুতে শয়তানের মত শত্রুকে আপনি তাড়িয়ে দিয়ে ময়দানে নেমে যান আল্লাহর আনুগত্যের জন্যে? এর জন্য আপনাকে যা করতে হবে তা হল নিম্নোক্ত বহুল পরিচিতি দোয়াটি ১০০ বার পড়ে নিবেনঃ
لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللّٰهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيْكَ لَهُ، لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ، وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيْرٌ
লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়াহ্দাহু লা শারীকা লাহু, লাহুল মুলকু, ওয়া লাহুল হামদু, ওয়া হুয়া ‘আলা কুল্লি শাই’ইন ক্বাদীর।
আমরা সকলেই জানি এ দুয়াটি সকল সন্ধ্যার যিকর হিসেবে পড়া হয় এবং অনেকে পড়ি তো পড়ি না৷ পড়লেও ১০ বার৷ হিসনুল মুসলিম বইটিতে দুয়াটি একদম শেষে থাকার ফলে অনেকে গুরুত্ব দিয়ে পড়ি না।
আপনি দেখে থাকবেন পুরো হিসনুল মুসলিমে এটিই এমন একটি দোয়া যেটি আপনার পড়তে সবচেয়ে বেশি আলসেমি হয়। জ্বী ভাই! এটি সেই দুয়া যেটি পড়লে শয়তান আর আপনার ধারে কাছে আসতে পারবে না। শয়তান আল্লাহর কাছে করা ওয়াদা গুলো সম্পন্ন করতে পারবে না! এটি সামান্য কোনো বিষয় নয়! দুয়াটি সকালে পাঠ করলে বিকাল পর্যন্ত আসতে পারবে না। আর বিকালে পাঠ করলে সকাল পর্যন্ত আসতে পারবে না। একজন রাক্বী (যিনি কিনা রুক্বাইয়াহ করেন) তাকে একবার এক জ্বিন ভর করতে গিয়ে না পেরে কেদে দিয়ে বলেছিলো যে আমি পারছি না উনার উপর ভর করতে৷ এর মূল কারণ ছিলো তিনি সেদিন ১০০ বার উক্ত দুয়াটি পড়ে নিয়েছিলেন। ঘটনাটি আরো সাজানো৷
যা হোক, এবার আমরা এ দুয়াটি একটি ভিন্ন নিয়মে পড়বো। আর তা হচ্ছে, উক্ত দুয়াটি আপনি সকালে ফজরের সলাত টা পড়েই ১০০ বার পড়ে মসজিদ থেকে বের হন, এর আগে কিছুতেই দিন শুরু করবেন না। আপনি এই দুয়াকে এমনভাবে প্রায়োরাটাইজ করবেন যে আপনি খাবার-দাবার গ্রহণ করুন আর না করুন, এ দুয়া পড়ে আপনাকে দিন শুরু করতে-ই হবে। অন্যসব আমল স্কিপ করে আগে এই দুয়াটি প্রথমেই পড়ে শেষ করে ফেলুন। ১০ মিনিটের মত লাগতে পারে। তারপর আপনি চাইলে অন্য যেকোনো সকাল সন্ধ্যার যিকর গুলো পড়তে পারেন কিংবা কুরআন তিলওয়াত ইত্যাদি যা ইচ্ছা পড়তে পারতেন।
ঠিক তেমনি পূনরায় আসর কিংবা মাগরিব এর সলাত শেষ করেই দুয়াটি নাক-কান বন্ধ করে ১০০ বার পড়া শেষ করে ফেলুন। এবারও আপনি শয়তান হতে মুক্ত।
আল্লাহ্ তায়ালা আমাকে ও আপনাদের কে আমল করে চলার জন্য তৌফিক দান করুন। (আমিন)
Array