• আজকের পত্রিকা
  • ই-পেপার
  • আর্কাইভ
  • কনভার্টার
  • অ্যাপস
  • নতুন প্রজন্মের চোখে বঙ্গবন্ধু 

     বার্তা কক্ষ 
    17th Mar 2023 7:30 am  |  অনলাইন সংস্করণ
    • আবু সৈয়দ,বেরোবি প্রতিনিধি/

    মুজিব মানে ভাষা আন্দোলন,মুজিব মানে বাংলার মুক্ত আকাশ,মুক্ত বাতাস,মুজিব মানে বাঙালির অবিরাম মুক্তির সংগ্রাম,মুজিব মানে বাঙালি জাতির অস্তিত্ব,মুজিব মানে চেতনা,মুজিব মানে স্বধীন বাংলা,মুজিব মানেই সোনার বাংলাদেশ। কবির ভাষায়:-

    যত দিন রবে পদ্মা মেঘনা
    গৌরী যমুনা বহমান
    তত দিন রবে কীর্তি তোমার
    শেখ মুজিবুর রহমান।

    বলছি বাঙালি জাতির ঠিকানা,বাঙালি জাতির অনুভূতি, বাঙালি জাতির আবেক,বাঙালি জাতির ভালোবাসা,বাঙালি জাতির অনুপ্রেরণা, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কথা।১৯২০ সালের ১৭ মার্চ ফরিদপুর জেলার গোপালগঞ্জ মহকুমার (বর্তমানে জেলা) টুঙ্গিপাড়া গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে শেখ লুৎফর রহমান ও সায়েরা খাতুনের কোল আলোকিত করে এসেছিলেন বাংলার আকাশের উজ্জ্বল নক্ষত্র, বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও মুক্তি-সংগ্রামের মহানায়ক, বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি, ভারতীয় উপমহাদেশের অন্যতম রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, বিশ্বনন্দিত নেতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শেখ লুৎফর রহমান ও মোসাম্মৎ সাহারা খাতুনের চার কন্যা ও দুই পুত্রের মধ্যে তৃতীয় সন্তান। বাবা-মা ডাকতেন খোকা বলে।

    ‘একটি শিশু থেকে বঙ্গবন্ধু ‘
    আমার সন্তান যেন থাকে দুধে ভাতে ” ভারত চন্দ্র রায়ের বিখ্যাত উক্তি। বিশ্বের প্রত্যেকটি পিতামাতা সন্তানের মঙ্গল চায়, ভালো চায়। কিন্তু শিশুদের কে ভালো রাখবে? পরিবার,সমাজ নাকি রাষ্ট্র? আজকে সমাজ কিংবা পরিবারের চারপাশে তাকালেই দেখতে পাই শিশুরা ভালো নেই। তারা মাঠে, ঘাটে, ইট ভাটায় শ্রম দিচ্ছে। যে বয়সে সুপ্ত প্রতিভা বিকশিত করার কথা, শারীরিক গঠন পরিবর্তন হওয়ার কথা সে বয়সেই দিনরাত পেটের দায়ে কাজ করছে। আমরা হয়তো ভুলে গেছি ‘আজকের শিশুরাই আগামী দিনের ভবিষ্যত’। একটা শিশু চিরকাল শিশু থাকে না। তারা তর তর করে বড় হয়ে পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ কাজে নিজেকে নিয়োজিত করে। একটা শিশু একটি বিজ, একটি চারাগাছ ও একটি সম্ভাবনা। বঙ্গবন্ধু একদিনে অবিসংবাদিত নেতা হয়ে উঠে নি কিংবা কাজী নজরুল ইসলাম ও একদিনে জাতীয় কবি হয়ে উঠেনি। শিশুদের সুপ্ত প্রতিভা বিকশিত করার জন্য পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রকে অবশ্যই এগিয়ে আসতে হবে। তারাই হবে বাংলাদেশের কান্ডারী এবং শিশু থেকে হবে বঙ্গবন্ধুর মতো দেশের জন্য নিবেদিত প্রাণ।
    মোঃমমিনুর রহমান
    বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়


    সর্বকালের, সর্বযুগের, সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান । যে মানুষটিকে নিয়ে লেখা শুরু করলে হয়তো একটি মহাকাব্য রচিত হয়ে যাবে তবুও হয়তো তার ব্যাপারে কথা বলা শেষ হবে না । যে মানুষ টা না থাকলে দেশের স্বাধীনতা কি অবস্থায় থাকত তা আমাদের অজানা। একটি দেশ, একটি জাতি পরিচালিত হওয়ার জন্য প্রয়োজন একটি দক্ষ নেতৃত্ব । নেতৃত্ব ব্যতিত একটি জাতি কখনোই সঠিকভাবে পরিচালিত হতে পারবে না । বাংলাদেশের স্বাধীনতার নেপথ্যে যে মানুষটির সুদক্ষ নেতৃত্ব সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে বঙ্গবন্ধু হলেন সেই ব্যক্তি । শুধুমাত্র মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ই নয় বরং ব্রিটিশ শাসনের সময় থেকেই বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্ব দানে অগ্রগামী ভূমিকা ছিল । এমনকি এদেশের মানুষের অধিকার আদায় করার জন্য ১৯৩৮ সালে তিনি সর্বপ্রথম কারাবরণ করেন । ১৯৪০ সালের লাহোর প্রস্তাব উত্থাপনে বঙ্গবন্ধুর ভূমিকা ছিল অগ্রগণ্য । ৪৭ এর দেশ ভাগ, বায়ান্ন এর ভাষা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধু ছিলেন সামনের কাতারের লোক । ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট সরকার এ বঙ্গবন্ধুর মন্ত্রিত্ব লাভ প্রমাণ করে দেশের জন্য তার কাজ করার স্পৃহা কতটা গভীর ছিল । ১৯৫৬ সাল থেকে ১৯৬৯ সাল পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুর সার্বিক নেতৃত্বের মূল লক্ষ্য ছিল বাঙালি জাতির সার্বিক স্বাধীনতা অর্জন করা । ১৯৭০ এর নির্বাচনে বাঙালি তার অধিকার হাতের মুঠোয় পেয়েও যখন হারিয়েছে বঙ্গবন্ধু তখন সর্বস্ব দিয়ে এ দেশের মানুষের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে নামেন  । যার ফলশ্রুতিতেই আমরা একটা ৭ মার্চ, একটা সোহরাওয়ার্দী উদ্যান দেখতে পাই । দেখতে পাই ইউনেস্কোর বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহাসিক একটা দলিল । বঙ্গবন্ধু গ্রেফতার হলেন । ৯ মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের শেষে ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ এ এই দেশ শত্রু মুক্ত হলো । কিন্তু তখনো এ মহান নেতা ছিলেন পাকিস্তান কারাগারে । ১০ জানুয়ারি ১৯৭২ দেশে ফিরলেন । কিন্তু দেশটা তখন একটা যুদ্ধ বিধ্বস্ত নগরী । বঙ্গবন্ধু শুধু এ দেশকে স্বাধীন করার নেপথ্যে কাজ করেন নাই, যুদ্ধ বিধ্বস্ত একটি দেশকে কিভাবে পুনরায় গঠন করে উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত করা যায় তার সার্বিক কর্মসূচী হাতে নিয়েছিলেন । বিধ্বস্ত বাঙালির আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে রিলিফে টিনশিট ও খাদ্য দেয়ার ব্যবস্থা করেন। বঙ্গবন্ধু বুঝতে পেরেছিলেন শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়ন ছাড়া জাতির উন্নয়ন সম্ভব নয়। তাই শিক্ষকদের যুদ্ধের নয় মাসের বকেয়া বেতন পরিশোধ করেন, হাজার হাজার বিদ্যালয় জাতীয়করণ করেন । ২৬ জুলাই ২৯৭২ ড. কুদরতই খুদার নেতৃত্বে একটি পূর্নাঙ্গ শিক্ষা কমিশন গঠন করেন । স্বাধীনতা পরবর্তী ৪ বছরেই দেশ অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছিল । কিন্তু সেটা দেশের অভ্যন্তরেই থাকা জাতির শত্রুদের সহ্য হলো না । ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু কে স্বপরিবারে হত্যা করে। তারা হয়ত এক বঙ্গবন্ধু কে হত্যা করেছে, কিন্তু তারই আদলে হাজারো বঙ্গবন্ধু দেশে জন্মেছে । বঙ্গবন্ধুর রেখে যাওয়া আদর্শ আমাদের নতুন করে বঙ্গবন্ধু হতে প্রেরণা দেবে । তার আদর্শ আমাদের জাতির চলার পথে পাথেয় হয়ে থাকবে যুগের পর, যুগ বছরের পর বছর, কাল থেকে কালান্তরে ।
    মোঃ ফজলুল হক
    বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়


    “স্বাধীনতার মহানায়ক”

    “স্বাধীনতার মহানায়ক” বাঙালি জাতির জীবনে একটি সুন্দরতম দিন হলো ১৭ই মার্চ। ১৯২০ সালের ১৭ই মার্চ, রাত আটটায় গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়ায় জন্ম নেয় এক শিশু, অতঃপর সে বাঙালি জাতির স্বাধীনতার মহানায়ক।বাঙালি জাতির স্বাধীনতার স্বপ্নদ্রষ্টা,সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ নেতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। “একজন মুজিব না থাকলে বাংলাদেশ কখনোই জন্ম নিত না ” -ফিনান্সিয়াল টাইমস কারণ মুজিব হলো ‘বাংলার স্বাধীনতা’ নামক এক কালজয়ী স্বপ্নের নাম।যিনি একটি জাতিকে শুধুমাত্র স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখিয়েই ক্ষান্ত থাকেন নাই, দিনের পর দিন লড়াই করেছেন,লড়াই করতে শিখিয়েছেন এবং নিজের জীবন উৎসর্গ করে সেই স্বপ্নকে সত্যতা দিয়েছেন। বাংলার মানুষ বঙ্গবন্ধুর প্রতি কৃতজ্ঞ সর্বকালের জন্য। এই ১০৩তম জন্মদিনে গভীর শ্রদ্ধা জানাই আমাদের স্বাধীনতার মহানায়ককে।

    আনিকা আনজুম (লোকপ্রশাসন বিভাগ)
    বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়


    ‘মুজিব মোদের অহংকার’
    ১৯২০ সালের ১৭ই মার্চ গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়ায় জন্ম নেয়া বাংলার এক অনন্য সন্তান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। দেশ ও দেশের মানুষের কথা সবসময় চিন্তা করাই ছিল তার জীবনের একমাত্র ব্রত।তিনি আজীবন দুঃখী মানুষের পাশে ছিলেন।পৃথিবীর মানচিত্রে আমাদের এই প্রাণপ্রিয় দেশ বাংলাদেশকে অধিষ্ঠিত করেছেন। তারই নেতৃত্বে ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর বাংলাদেশ স্বাধীন হয়।এজন্যই আজ আমরা স্বাধীনভাবে বাঁচতে শিখেছি।জাতীয় জীবনে তার এই অবদান কখনোই ভুলবার নয়।তাইতো কবি কন্ঠে উচ্চারিত হয়, “যতদিন রবে গৌরি, যমুনা, পদ্মা,মেঘনা বহমান ততদিন রবে কীর্তি তোমার শেখ মুজিবুর রহমান।
    জেসমিন আক্তার বৃষ্টি (লোকপ্রশাসন)
    বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়

    বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকবেন নব্য কবিদের কবিতায়”
    জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালি জাতিকে দিয়েছেন স্বাধীনতা, একটি পতাকা, একটি স্বাধীন সার্বভৌম ভূখণ্ড। আজকে আমরা যে স্বাধীন সার্বভৌম দেশে দাঁড়িয়ে আছি তার অতীত ইতিহাস বড়োই করুণ। পাকিস্তানি শাসক গোষ্ঠীরা বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ এ সময়ে রচনা করতে থাকে তাদের মনগড়া ইতিহাস। কিন্তু বাংলাদেশ নামক মহাকাব্যের রচয়িতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তা কখনোই মেনে নেননি। তাঁর পুরোটা জীবন ও যৌবন উৎসর্গ করেছেন বাংলার আপামর বাঙালিদের মুক্তির জন্য। তিনি দিয়ে গেলেন আমাদের লেখার স্বাধীনতা, মুক্তির স্বাধীনতা। জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর দেহের মৃত্যু হলেও, বঙ্গবন্ধু আজও বেঁচে আছেন এবং থাকবেন সহস্র বাঙালির মনে প্রাণে। বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকবেন নব্য কবিদের কবিতায়।”

    মনিরুল ইসলাম মুকুল
    বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়

    Array
    We use all content from others website just for demo purpose. We suggest to remove all content after building your demo website. And Dont copy our content without our permission.
    আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
    Jugantor Logo
    ফজর ৫:০৫
    জোহর ১১:৪৬
    আসর ৪:০৮
    মাগরিব ৫:১১
    ইশা ৬:২৬
    সূর্যাস্ত: ৫:১১ সূর্যোদয় : ৬:২১

    আর্কাইভ