দ্রুত যুদ্ধ শেষ করতে চান পুতিন। উজবেকিস্তানের সমরখন্দে সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন বা এসসিওর শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে গতকাল শুক্রবার বৈঠক করেছেন ভ্লাদিমির পুতিন ও নরেন্দ্র মোদী। বৈঠকে পুতিন আশ্বস্ত করে মোদীকে জানান, যত দ্রুত সম্ভব যুদ্ধ শেষ করতে চান তিনি। তাছাড়া ইউক্রেন যুদ্ধকে কেন্দ্র করে ভারতের উদ্বেগের কারণও অনুভব করেছেন পুতিন। ক্রেমলিনের পক্ষ থেকে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়।
এছাড়া ভারতের নিরপেক্ষ পররাষ্ট্রনীতিরও প্রশংসা করেছেন পুতিন। যুদ্ধের বিরোধিতা করে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধান করতে ভারতের প্রস্তাবও বেশ গ্রহণযোগ্য বলে জানান এই রুশ প্রেসিডেন্ট। সেই সাথে ভারত-রাশিয়ার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে মজবুত করে তোলার বিষয়েও আলোচনা করেছেন দুই রাষ্ট্রপ্রধান।
আগে থেকেই ক্রেমলিনের পক্ষ থেকে জানান দেওয়া হয়েছিল, দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসবেন ভারত এবং রাশিয়ার রাষ্ট্রপ্রধান। প্রতিবেশী দেশ ইউক্রেনে হামলা চালানোর পরে এই প্রথম মুখোমুখি হলো মোদী এবং পুতিন।
তাদের আলোচনায় উঠে আসে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের বিষয়টি। বৈঠকে মোদী পুতিনকে জানান, এটা যুদ্ধ করার সময় নয়। আমি ফোনেও আপনার সাথে এই বিষয়ে কথা বলেছিলাম।
এদিকে ২০২৩ সালের এসসিও বৈঠকের সভাপতিত্ব করবেন ভারত। আর তাই ভারতকে শুভেচ্ছা জানিয়ে পাশে থাকার বার্তা দিয়েছে রাশিয়া। সাম্প্রতিক ইউক্রেনীয় সেনার হাতে নাজেহাল হচ্ছে রুশ বাহিনীরা। রাশিয়ার অধিকৃত বেশ কিছু জায়গা ফের পুনর্দখল করতে সক্ষম হয়েছে ইউক্রেনীয় সেনা। লাগাতার ব্যর্থতার ফলে নিজের দেশেও বারবার বিক্ষোভের মুখে পড়েন পুতিন।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পরে একাধিক বার ফোনে কথা হয়েছিল মোদী-পুতিনের মধ্যে। প্রকাশ্যেও বারবার যুদ্ধের পরিবর্তে কূটনৈতিকভাবে আলোচনা করে সীমান্ত সমস্যা মিটিয়ে ফেলার পক্ষে কথা বলেন ভারত।
আরও জানা যায়, যুক্তরাষ্ট্রসহ বেশ কয়েকটি দেশের চাপের মুখে পতিত হয়ে রাশিয়ার নিন্দা করেনি ভারত। জাতিসংঘে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ভোট দেওয়া থেকেও বিরত থেকেছে এই দেশটি। কম দামে অপরিশোধিত তেল আমদানিও করেছে ভারত।
Array