প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হলো চক্ষু চিকিৎসকদের নিয়ে ফেলোশিপ অ্যালামনাই রিইউনিয়ন। এটির আয়োজন করে ইস্পাহানি ইসলামিয়া আই ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল। আজ বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টায় হাসপাতালটির নিজস্ব মিলনায়তনে এটি অনুষ্ঠিত হয়। এতে সারাদেশ থেকে প্রায় ১৫০ জন ফেলোসহ চোখের মোট ২৫০জন চিকিৎসক অংশ নেন।
প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ.কে.এম আখতারুজ্জামান জানান, দেশ বিদেশে দক্ষ চিকিৎসক তৈরি করতে ২০০৫ সাল থেকে ফেলোশিপ দিচ্ছে এ হাসপাতাল। এখন পর্যন্ত প্রায় দেড় হাজার ফেলো তৈরি করা হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে ৮২ জন বিদেশি ফেলো। এসব চিকিৎসকরা নিজ নিজ অবস্থান থেকে স্বাস্থ্য সেবায় অবদান রাখছেন নিয়মিত। আজকের অনুষ্ঠান তাদেরই মিলনমেলা যারা ইস্পাহানি ইসলামিয়া আই ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের প্রতিনিধিত্ব করছেন। আগামীতে এ ধরনের মিলনমেলা আরো করা হবে বলে জানান তিনি।
হাসপালটির প্রয়াত প্রতিষ্ঠাতা এম.এ ইস্পাহানির সহধর্মিণী ও বর্তমান উপদেষ্টা জাহিদা ইস্পাহানি জানান, ১৯৬০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এ হাসপাতাল। ৬০ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলাদেশে সবচেয়ে বড় মাল্টি স্পেসালিটি চক্ষু হাসপাতাল হিসেবে পরিচিত এটি। সমাজের সকল শ্রেণি পেশার মানুষের জন্য মানসম্পন্ন চোখের সেবার আস্থার ঠিকানা। রোগীর পছন্দ অনুযায়ী সুযোগ সুবিধার পরিবর্তন হলেও এখানে সবার জন্য একই মানের চিকিৎসা সেবা প্রদান করে যাচ্ছে এ হাসপাতাল।
রিইউনিয়নে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, ইস্পাহানি ইসলামিয়া আই ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের উপদেষ্টা জাহিদা ইস্পাহানি, অ্যালামনাই রিইউনিয়ন কমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সারওয়ার আলম, হাসপাতালের ডিরেক্টর মেডিকেল সার্ভিস অধ্যাপক ডা. মোস্তাফিজুর রহমান, অ্যালামনাই রিইউনিয়ন কমিটির মহাসচিব ও হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. মোমিনুল ইসলামসহ বিভিন্ন বিভাগের চিকিৎসকরা।
Array