স্বপ্নের পদ্মা সেতু চালু হয়েছে প্রায় আট মাস। উদ্বোধনের পরদিন থেকে যানবাহন চলাচল শুরু হয়। একদিন পর ২৭ জুন থেকে এই সেতু দিয়ে মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। যানবাহন চলাচলের প্রথম দিন রাতে সেতুর ওপর বেপরোয়া গতিতে মোটরসাইকেল চালাতে গিয়ে দুর্ঘটনায় পড়েন মোটরসাইকেলের দুই আরোহী। সেতুর ওপর দুর্ঘটনার সেই দৃশ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। পরদিন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচল নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। কতিপয় বেপরোয়া গতির মোটরবাইকারের কারণে পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচল নিষিদ্ধ রয়েছে। বাইক চলাচল নিষিদ্ধ থাকায় প্রতিমাসে কোটি কোটি টাকার টোল থেকে বিরত হচ্ছে পদ্মা সেতু কর্তৃপক্ষ।
পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচল নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ‘পদ্মা সেতুতে বাইক চালুর দাবি জানাই’ নামে একটি গ্রুপ খোলা হয়েছে। গ্রুপের সদস্য সংখ্যা এখন পর্যন্ত দেড় হাজার। তারাই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তাদের কাছে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের অনুরোধ করেছে। মোটরবাইক চলাচলের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবিতে শুক্রবার সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচির পালন করেছে বাইকার গ্রুপের শতাধিক সদস্য। মানববন্ধন কর্মসূচি শেষে সেখানে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ‘পদ্মা সেতুতে বাইক চালুর দাবি জানাই’ সংগঠনের আহবায়ক জিল্লুর রহমান দীপন, সমন্বয়ক রাকিবুল ইসলাম বাবু, সদস্য সচিব এস. এম. নাইম, সদস্য হোসেন আরাফাত, আরিফুর রহমান, লালন ফকির, জাহিদ এবং বাইকিং গ্রুপ বাইকবিডি’র এডমিন শুভ্র সেন, সবার প্রিয় চকলেট বাইকার গ্রুপের তরু, বিক্রমপুর রাইডারসের এডমিন ইয়ামিন, বাংলাদেশ সচেতন বাইকারস ক্লাবের এডমিন আরিফ, বাইকারস ক্লাব নারায়ণগঞ্জের এডমিন বেলাল ও ন্যাশনাল বাইকারসের এডমিন রায়হান।
বক্তারা বলেন, দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধ করে দেয়া অযৌক্তিক। প্রয়োজনে সেতুর ওপর মোটরসাইকেলের গতি নিয়ন্ত্রণ করা হোক। বর্তমান সরকারের অন্যতম সফলতা হল পদ্মা সেতু নির্মাণ। এ ধরনের একটি বড় স্থাপনা নির্মাণ হওয়ার পর শুরুতে অনেকের মধ্যে চাঞ্চল্য থাকবে, উত্তেজনা থাকবে। দুই চারদিন পর স্বাভাবিক হয়ে যায়। মোটরসাইকেল চলাচল নিষিদ্ধ করায় হাজার হাজার মোটরবাইক মালিকদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ফেরিতে করে মোটরসাইকেল পার করে বাড়িতে যেতে অতিরিক্ত দুই ঘণ্টা সময় ব্যয় হচ্ছে। এতে বাড়তি খরচ হচ্ছে। মোটরসাইকেল পারাপার বন্ধ থাকার কারণে পদ্মা সেতু কোটি কোটি টাকার টোল থেকে বি ত হচ্ছে। আমরা এই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে জন্য প্রধানমন্ত্রীর সুদৃষ্টি কামনা করছি।
Array