মিছিলটি গণ অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কার্যালয় পল্টন থেকে শুরু হয়ে গুলিস্তান জিরো পয়েন্ট হয়ে পীর ইয়েমেনি মার্কেটের সামনে দিয়ে ঘুরে নাইটিঙ্গেল, কাকরাইল মোড়, ফকিরাপুল হয়ে পল্টন এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।

সমাবেশে ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর বলেন, বিদ্যুৎ, গ্যাসসহ সরকার একের পর এক জিনিসপত্রের দাম বাড়াচ্ছে। জিনিসপত্রের ঊর্ধ্বগতিতে আজ জনজীবনে দুর্ভোগ। জনগণের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকে আমরা এ কর্মসূচি দিয়েছি। এমনকি গণ অধিকার পরিষদের পক্ষ থেকে কর্মসূচির বিষয়ে জেলায় জেলায় পুলিশকেও অবহিত করা হয়েছে। তারপরও পুলিশ পটুয়াখালী, পিরোজপুর, বগুড়া, গাজীপুর, কিশোরগঞ্জসহ বিভিন্ন জেলায় কর্মসূচিতে বাধা প্রদান করেছে।

dhakapost

আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ এনে নুর বলেন, পটুয়াখালী, বগুড়া, ময়মনসিংহসহ কয়েক জায়গায় আওয়ামী-সন্ত্রাসীরা গণ অধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করেছে। পটুয়াখালীতে কার্যালয়ে ঢুকে নারকীয় তাণ্ডব চালিয়েছে। বগুড়ায় কর্মসূচি শেষ করে ফেরার পথে হামলা চালিয়েছে। সরকারবিরোধী দলসমূহের ওপর অব্যাহত হামলা-মামলা করে দেশে একদলীয় শাসন বাকশাল কায়েম করা হচ্ছে। এ দেশের জনগণ ৭৫ সালে বাকশাল মেনে নেয়নি, আজও নেবে না।

তিনি আরও বলেন, দেশের টাকা বিদেশে পাচার করে, লুটপাট অব্যাহত রাখতে সরকার একের পর জিনিসপত্রের দাম বাড়াচ্ছে। দেশকে নৈরাজ্যের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। সুষ্ঠু নির্বাচন দিয়ে ভালোভাবে বিদায় না নিলে পৃথিবীর অন্যান্য স্বৈরশাসকদের মতো বর্তমান সরকারকেও নিষ্ঠুর পরিণতি ভোগ করতে হবে।

পুলিশকে অবহিত করার পরও শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে পুলিশের বাধা ও হামলার জবাবদিহিতা চাইতে রোববার (১২ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টায় পুলিশ সদর দপ্তর অভিমুখে মৌন মিছিল সহকারে পুলিশ প্রদানের সঙ্গে গণ অধিকার পরিষদের প্রতিনিধি দল সাক্ষাৎ করবে বলে ঘোষণা দেন নুর।