যুক্তরাষ্ট্রের ভূতত্ত্ব জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস এক বিবৃতি অনুযায়ী, পর পর দু’টি ভূমিকম্প হয়েছে তুরস্কে। প্রথমটি হয়েছে স্থানীয় সময় ভোর ৪টা ১৭ মিনিটে এবং সেটির মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৮; দ্বিতীয়টি ঘটে তার ১৫ মিনিট পর। সেটি মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৭।
ইউএসজিএস বলছে, গত ১০০ বছরেও এত শক্তিশালী ভূমিকম্পের মুখে পড়তে হয়নি তুরস্ককে।
তাদের তথ্য অনুযায়ী, ১৯৩৯ সালে একই মাত্রার একটি ভূমিকম্পে ৩০ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়।
জর্জিয়া টেক ইউনিভার্সিটির স্কুল অব আর্থ অ্যান্ড অ্যাটমোস্ফিয়ারিক সায়েন্সেস-এর সহকারী অধ্যাপক কার্ল ল্যাং সিএনএনকে বলেছেন, যে সোমবার ভূমিকম্প আঘাত হানা এলাকাটিতে ভূমিকম্পের প্রবণতা রয়েছে।
ল্যাং আরও বলেন, এটি একটি সিসমোজেনিক এলাকা। এখানে বড় একটা ফল্ট জোন রয়েছে। তার সাম্প্রতিক সময়ে সেখানে আঘাত হানা যেকোনো ভূমিকম্পের চেয়ে আজকের ভূকিম্পটা বড় ছিল।
তিনি আরও বলেন, পৃষ্ঠে যে কম্পনটা অনুভূত হয় সেটা মূলত দুটি বিষয়ের ওপর নির্ভর করে, একটি হলো কতটা শক্তি নিঃসৃত হয়েছে, অর্থাৎ ভূমিকম্পের আকার, আরকটি হলো ভূ-পৃষ্ঠের কতটা গভীরে ভূমিকম্পের উৎপত্তি। উৎপত্তি যদি পৃষ্ঠের কম গভীরে হয়, তাহলে সেটা খুবই বিপজ্জনক ভূমিকম্প হতে পারে।
তুরস্কে আজ যে ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে এ ধরনের ভূমিকম্প বিরল। গোটা বিশ্বে বছরে ৫টিরও কম এ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে।
আরও একটি কারণে আজকের ভূমিকম্প বিরল ছিল। ল্যাং বলছেন, তার কারণ হলো- এটা খুবই শক্তিশালী ভূমিকম্প, আবার ভূ-পৃষ্ঠের খুব কাছাকাছি এর উৎপত্তি।
তুরস্কে ভূমিকম্প অপরিচিত কোনো বিষয় নয়। গত ২৫ বছরে দেশটিতে রিখটার স্কেলে ৭ মাত্রা বা তার চেয়ে বেশি মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে সাতবার। কিন্তু সোমবারের ভূমিকম্প ছিল সবচেয়ে শক্তিশালী। ২০২১ সালের আটলান্টিক মহাসাগরের দ্বীপপুঞ্জে আঘাত হানা ৮ দশমিক ১ মাত্রার ভূমিকম্পের পর এটাই সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্প।
সূত্র : সিএনএন।