রোববার (৫ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে মিরপুর হার্ট ফাউন্ডেশনে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮১ বছর।  দীর্ঘদিন হার্টের সমস্যাসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন তিনি।

রোববার সকালে তাকে রাজধানীর মিরপুরের ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনে ভর্তি করা হয়। মৃত্যুকালে তিনি দুই পুত্র ও এক কন্যা সন্তানসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

দৈনিক জনতা জানিয়েছে, তিনি ঢাকার ১৩২/২ পশ্চিম শেওড়াপাড়া, মিরপুরের  নিজ বাসভবনে পরিবার নিয়ে বসবাস করতেন।

আহসান উল্লাহ্ ২০০৬ সালে দৈনিক জনতায় বার্তা সম্পাদক হিসেবে যোগদান করেন। এরপর ২০১০ সাল থেকে তিনি পত্রিকাটির সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। এর আগেও তিনি দৈনিক জনতার প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করেন। আহসান উল্লাহ্ ১৯৬২ সালে  দৈনিক ইত্তেফাকের মাধ্যমে সাংবাদিকতা পেশায় যুক্ত হন। এরপর বাংলার বাণী, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা ও বার্তা সংস্থা আবাস-এ বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেছেন।

আহসান উল্লাহ্ জাতীয় প্রেস ক্লাব, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন ও ঢাকা সাব-এডিটরস কাউন্সিলের সদস্য ছিলেন। তিনি কবিতা লেখার পাশাপাশি বিভিন্ন গণমাধ্যমে লেখালেখি করতেন। একজন ভালো অনুবাদকও ছিলেন তিনি।

১৯৪২ সালের ৫ জানুয়ারি মাগুরা জেলার শালিখা থানার শরুশুনা গ্রামের নানা বাড়িতে আহসান উল্লাহ্ জন্ম গ্রহণ করেন।

এদিকে সম্পাদক আহসান উল্লাহ্র মৃত্যুতে দৈনিক জনতা পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তার মৃত্যুতে পত্রিকাটির প্রকাশক সৈয়দ মো. আতিকুল হাসানসহ জনতা পরিবার গভীর শোক প্রকাশ ও তার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে তার শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছে। আহসান উল্লাহর মৃত্যুতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, বাংলাদেশ ফেডালে সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ওমর ফারুক ও মহাসচিব দ্বীপ আজাদ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি সোহেল হায়দার চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেন গভীর শোক জানিয়ে মরহুমের আত্মর মাগফেরাত কামনা করেছেন।